Search
Close this search box.

দেশের ১৫৩ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’

বহুদিনের অপেক্ষার অবসান হলো অবশেষে। আজ শুক্রবার সারা দেশের ১৫৩টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল স্বাধীনতার মহান স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর ওপর নির্মিত সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। এটির পরিবেশনায় রয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড।

‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ পরিচালনা করেছেন ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায়। শুটিংও হয়েছে দুই দেশ মিলিয়ে। এখানে কেন্দ্রীয় চরিত্র তথা বঙ্গবন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ।

সিনেমাটি সবাইকে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়ে এই নায়ক বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি সবাই চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে। আজ ১৩ অক্টোবর সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে। এরপর ভারতে মুক্তি পাবে এবং পরে সমগ্র বিশ্বে মুক্তি পাবে। সবাইকে হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।’

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেটের এই সিনেমার কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। মাঝে করোনাভাইরাস হানা দিলে থমকে যায় সিনেমার শুটিংসহ অন্যান্য কাজ। অবশেষে নির্মাণ সম্পন্ন হলে জমা দেওয়া হয় চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে। চলতি বছরের ৩১ জুলাই সিনেমাটি আনকাট ছাড়পত্র পায়।

এই সিনেমায় আরিফিন শুভর বিপরীতে অর্থাৎ, বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের প্রাপ্ত বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। বঙ্গবন্ধু-কন্যা তথা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ভূমিকায় দেখা যাবে নুসরাত ফারিয়াকে।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন- খায়রুল আলম সবুজ (বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান), দিলারা জামান (সাহেরা খাতুন), সায়েম সামাদ (সৈয়দ নজরুল ইসলাম), শহীদুল আলম সাচ্চু (এ কে ফজলুল হক), প্রার্থনা দীঘি (ছোট রেনু), রাইসুল ইসলাম আসাদ (আবদুল হামিদ খান ভাসানী), গাজী রাকায়েত (আবদুল হামিদ), তৌকীর আহমেদ (সোহরাওয়ার্দী), সিয়াম আহমেদ (শওকত মিয়া), মিশা সওদাগর (জেনারেল আইয়ুব খান), এলিনা (বেগম খালেদা জিয়া) ও জায়েদ খান (টিক্কা খান)।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁও‌য়ে বাংলা‌দেশ ফিল্ম আর্কাই‌ভে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এর প্রিমিয়ার শোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। সেখানে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু-কন্যা বলেন, ‘এটি একটি জীবনীভিত্তিক সিনেমা। এ সিনেমার মাধ্যমে ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য আমরা জানতে পারব।’ এ সময় সিনেমাটি নির্মাণের সঙ্গে জড়িত কলাকুশলী, চিত্রনাট্যকার, গল্পকার এবং নির্মাণ কাজে যারা ছিলেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ