পথে প্রান্তরে ডেস্ক: ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। রুপালি পর্দায় দাপিয়ে বেড়ানোর পর সক্রিয় হন রাজনীতির মাঠে। প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেছিলেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনের পর এক বছরও সংসদ সদস্য হিসেবে থাকার সৌভাগ্য হলো না ফেরদৌসের। ছাত্র-জনতার এক দফা দাবির জেরে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুধু তিনিই নন, তার দেশত্যাগের খবরের পর সরকারের অনেক মন্ত্রী, এমপিরাও দেশ ছাড়েন। সেই সঙ্গে ভেঙে দেওয়া হয় সংসদও। এমতাবস্থায় খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে মন্ত্রিসভার যারা দেশে রয়ে গেছেন, তারা এখন কে কোথায় আছেন? বিশেষ করে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ এখন কোথায় রয়েছেন? তিনিও কি দেশ ছেড়েছেন, নাকি দেশেই কোথাও গা ঢাকা দিয়ে আছেন?
সূত্র হতে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট রাত পর্যন্ত ঢাকাতেই অবস্থান করছিলেন ফেরদৌস। এর দুইদিন আগে বিটিভিতে হাজির হয়ে টেলিভিশন চ্যানেলটির ওপর হামলা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু গত ৫ আগস্ট থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ফেরদৌসকে। এমনিক তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও ৪ আগস্টের পর কোনো স্ট্যাটাস শেয়ার করতে দেখা যায়নি। এসবের মাঝেই গুঞ্জন উঠেছে, পরিবার নিয়ে নাকি দেশ ছেড়েছেন ফেরদৌস। যদিও নায়কের দেশ ছাড়ার খবরের এখনও কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এমনকি তার বন্ধ রয়েছে পিএসের নাম্বারও।
এদিকে ফেরদৌস গা ঢাকা দিলেও গত ৬ আগস্ট চিত্রনায়ক রিয়াজকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হয়েছে। তিনি ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে গেলে ইমিগ্রেশন পুলিশ ফেরত পাঠায় তাকে। মূলত এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার কথা ছিল রিয়াজের।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে কিছু রাজনীতিবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ বেশ কয়েকজনের তালিকা চেক-ইন এবং ইমিগ্রেশন কাউন্টারে দেওয়া রয়েছে। পাশাপাশি প্লেনে যাত্রী ওঠা ও ফ্লাইট উড্ডয়নের ক্ষেত্রেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চূড়ান্ত ক্লিয়ারেন্স নিতে হয়। বিকেলে রিয়াজ বিমানবন্দরে আসলে সম্ভবত তালিকায় নাম থাকার কারণে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে তাকে।