Search
Close this search box.

নতুন বছরে কুয়াকাটায় নেই আশানুরূপ পর্যটক

পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে কিছু সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আগত পর্যটকরা সৈকতে বালিয়াড়ীতে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। অনেকে আবার সৈকতের বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছেন। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নির্বাচনি আমেজের কারণে এ বছর আশানুরূপ পর্যটকের আগমন ঘটেনি বলে দাবি কুয়াকাটা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন তারা।

আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশ সদস্যদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে আগত পর্যটকদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে উপভোগে মন কাড়লেও ঘন কুয়াশার কারণে উপভোগ করতে পারেনি সূর্যোদয়।

মাদারীপুর থেকে আসা পর্যটক সোহেল খান জানান, নতুন বছরে আনন্দ উপভোগ করব বলে এখানে এসেছিলাম। কিন্তু পর্যটকের উপস্থিতি কম থাকায় তেমন আনন্দ হয়নি। ঢাকা থেকে আসা খাদিজা বেগম জানান, ঘন কুয়াশা থাকায় সকালের সূর্যোদয়ও দেখতে পারিনি।

কুয়াকাটা পায়রা রেস্টুরেন্ট এন্ড মিনি চাইনিজের স্বত্বাধিকারী মো. রেজাউল করিম জানান, বিগত বছরের হিসাব করে অনেক ধরনের মাছ-মাংস রান্না করে রেখেছিলাম যার অর্ধেকটা নিজেদের খেতে হয়েছে।

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, বিনোদন স্পটসহ বিভিন্ন স্থানকে রঙিন লাইট, বেলুন দিয়ে সাজিয়ে পরিপাটি করে রেখেছেন। তবে কাঙ্ক্ষিত বুকিং না পেয়ে হতাশ বেশিরভাগ হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, বছরে যতগুলো বন্ধে কুয়াকাটায় পর্যটকে টইটুম্বুর থাকে তার মধ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট অন্যতম। কিন্তু এ বছর রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোতে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোতে কোনো প্রকার অগ্রিম বুকিং না হাওয়ায় তারা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের পরিদর্শক হাসনাইন জানান, পর্যটক কম থাকলেও তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ