মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। ১৮২৪ সালের এই দিনে যশোরের সাগরদাঁড়িতে জন্মগ্রহণ করেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা আয়োজন রয়েছে যশোরের সাগরদাঁড়িতে। এ ছাড়া তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে এবারও মেলার আয়োজন হয়েছে মধুপল্লীতে।
যশোর শহর থেকে মধুপল্লীর দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। কবির স্মৃতিসমৃদ্ধ দত্তবাড়িতে ঢোকার মুখেই দেখা মিলবে কবি ভাস্কর্যের। কুটির আকৃতির প্রধান ফটক পেরিয়ে প্রবেশ করতে হবে কবির বসতবাড়িতে।
দোতলা বাড়ির ছয়টি কক্ষে মধুসূদন বিষয়ক বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য দলিল, চিঠিপত্র, পাণ্ডুলিপি ও হাতে আঁকা ছবির দেখা মিলবে। আছে কবির ব্যবহৃত খাট, চেয়ার ও আলমারি।
দর্শনার্থীরা বলছেন, কবির স্মৃতি বিজড়িত এ স্থানে কবি সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানা যায়।
সরকারি মাইকেল মধুসূদন দত্ত কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম আমানউল্লাহ বলেন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত সাহিত্যিকের পাশাপাশি ছিলেন একাধারে কবি, নাট্যকার, দার্শনিকও। বাংলা ভাষা ছাড়াও ইংরেজি ভাষাতেও তিনি ছিলেন সমান পারদর্শী। এ ছাড়াও ল্যাটিন, গ্রিক, হিব্রু, ফার্সিসহ অন্যান্য ভাষাতেও দক্ষতা ছিল তাঁর।
যশোরের সাগরদাঁড়িতে মধুসূদন দত্তের নামে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন যশোর সম্মিলিত সংস্কৃতি জোটের সাবেক সভাপতি হারুন-অর রশীদ।
কবির ২০০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ৯দিন ব্যাপী মেলা চলছে। পৈত্রিক বাড়ির সামনে ১৪ একর জমির উপর আয়োজিত এ মেলা শেষ হবে আগামী ২৮ জানুয়ারি।