সুর-ছন্দ, কথা ও কবিতায় প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পার করেছে সাংস্কৃতিক সংগঠন স্বরকল্পন আবৃত্তিচক্র। ‘দীপান্বিত মানুষের প্রতি আনত আজীবন’ এই শ্লোগানে ১৯৯৬ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে স্বরকল্পন আবৃত্তিচক্র। বিভিন্ন আন্দোলনে নিপীড়িত মানুষের জন্য সংগঠনটির কণ্ঠ ছিল সবসময় সোচ্চার।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপি রাজধানীর শাহবাগে ন্যাশনাল টেনিস কমপ্লেক্সের নিজস্ব রুমে কেককাটাসহ নানান আয়োজনে নিজেদের প্রতিষ্ঠার দিনটি পালন করে তারা। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভিক বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী শাহিদূল হক মিল্কী বলেন, ‘স্বরকল্পন আবৃত্তিচক্র বাঙালি সংস্কৃতির একটি অনির্বাণ বাতিঘর। মাতৃভূমি ও মাতৃ-সংষ্কৃতির শেকেড়ের সাথে গেঁথে রেখেছে সংগঠনটি।’
এ সময় সংগঠনের কনিষ্ঠ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এদেশে রাজনৈতিক আন্দোলনের চেয়ে সাংস্কৃতিক আন্দোলন সব সময় এগিয়ে থেকেছে। কাজেই আমরা যুথবদ্ধ হয়ে সকল পরাধীনতার বিরুদ্ধে নিজেদের জোরালো আবস্থান রাখবো। তবেই সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে আমাদের দেশ।’
সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘১৯৯৬ সাল থেকে আমাদের আবেগ ও সুন্দর স্মৃতির আতুরঘর ‘স্বরকল্পন আবৃত্তিচক্র’। সভ্যতা মানুষের কীর্তির উপর হয়। সংস্কৃতি মানুষের পরিচয় বহন করে নিয়ে যায়। সুতরাং আমাদের সংস্কৃতি যদি বিপন্ন হয়, তাহলে আমার পরিচয় বিপন্ন হবে।’
আলোচনা শেষে ‘যে তুমি হরণ করো’ শিরোনামে আবুল হাসানের কবিতার একটি আবৃত্তি প্রযোজনা করে সংগঠনটি। নির্দেশনায় ছিলেন মোস্তাফিজ রিপন। অংশ নেন আবৃত্তিশিল্পী জনি মুহম্মদ নুর উদ্দিন, খুরশিদা ইয়াসমিন, রিফাত আরা ইসলাম, খাইরুল ইসলাম রবি, দেওয়ান সুলতানা আশা, সামিরা মাশরুহা, রোহানী তাসকিম ইতি, তাহিরাতুজ জোহরা অর্নিম, আহসান হায়দার, আরিফুল ইসলাম শাহাব, শাহদাত পলাশ, সাবিকুন নাহার লিমু, মনিরা খাতুন ও রোজ।
প্রযোজনা শেষে মূল্যায়ন পর্বে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, কর্মশালা সম্পাদক নূর উদ্দিন জনিসহ অনেকে।