স্টাফ রিপোর্টার : শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমসের।
এর আগে বুধবার পার্লামেন্টে ২২৫ আইনপ্রণেতার মধ্যে ১৩৪ জন রনিলকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। নির্বাচিত হওয়ার পরই দেশের উন্নয়নে জোটবদ্ধ হয়ে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান ছয়বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা রনিল। অবশ্য রাজাপাকসে পরিবারের সদস্যদের শীর্ষ পদ থেকে পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের পরও থামেনি বিক্ষোভ। নতুন প্রেসিডেন্টকে প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে।
পার্লামেন্ট ভবনের সামনে আন্দোলন করছে হাজারো মানুষ। তারা বলছেন, পার্লামেন্টের ভোটে নির্বাচিত কাউকে মেনে নেয়া হবে না। রনিল ক্ষমতায় থাকলে কখনোই শ্রীলঙ্কার উন্নয়ন হবে না বলেও মন্তব্য তাদের।
এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে (৭৩) পার্লামেন্টে এমপিদের ভোটে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা রাজধানী কলম্বোর রাস্তায় পুনরায় জড়ো হয়েছেন। তারা বলেছেন, তারা তাদের কয়েক সপ্তাহব্যাপী চলা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। কারণ রনিল তাদের প্রেসিডেন্ট নন এবং জনগণের রায়ে নির্বাচিত নন।
কয়েকশ’ বিক্ষোভকারী কলম্বোর ‘গোতাগোগামা’ সাইটে পুনরায় জড়ো হয়েছে। গেল সপ্তাহেই এই একই জায়গায় গোতাবায়া রাজাপাকসে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করলে বিক্ষোভকারীরা নিজেদের সাফল্য উদযাপন করেছিলেন। খবর আল-জাজিরার।
গোতাগোগামায় জড়ো হওয়া জনতার উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বিক্ষোভকারীদের নেতা ছয়বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিলকে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। বিক্ষোভকারীরা বরং দেশটির চলমান অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সংকটের জন্য রনিলও আংশিক দায়ী বলে অভিযোগ করেন।
বুধবার ইন্টার ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ফেডারেশনের নেতা ওয়াসান্থা মুদালিগে উপস্থিত বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা জানেন পার্লামেন্ট আজ একজন নতুন নেতা নির্বাচিত করেছে। কিন্তু এই প্রেসিডেন্ট আমাদের কাছে নতুন নন। এটা জনগণের রায় না।
তিনি আরও বলেন, আমরা ৬৯ লাখ ভোট পাওয়া গোতাবায়া রাজাপাকসেকে ক্ষমতা থেকে তাড়াতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু রনিল বিক্রমাসিংহে এখন পেছনের আসন থেকে এসে ক্ষমতায় বসেছে। রনিল আমাদের প্রেসিডেন্ট নন… জনতার রায় রাস্তায় আছে।
এ ছাড়া বিক্ষোভকারীরা রনিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, তিনি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাজিত করতে প্রভাবশালী রাজাপাকসে পরিবারের সঙ্গে আঁতাত করেছে।