আন্তর্জাতিক ডেস্ক – ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইউক্রেন। শনিবার রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভিডিও ভাষণেও উঠে এসেছে নিজেদের নিয়ন্ত্রণের কথা। জেলেনস্কির দাবি, এই মাসের গোড়ার দিকে তার দেশের সেনারা পাল্টা অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার কাছ থেকে খারকিভের প্রায় দুই হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে কিয়েভ। শনিবার এসব শহরের মূল ঘাঁটি ত্যাগ করেছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনীয় বাহিনী দ্রুত অগ্রসর হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে মস্কোর আকস্মিক পতন ঘটেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। গত কয়েক মাসে মস্কোর জন্য এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ পতন বলা যায়। ৬ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে এটি নতুন মোড় নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে সরে যাওয়ার আগে হাজার হাজার রুশ সেনা গোলাবারুদের মজুত এবং সরঞ্জাম রেখে গেছে। রুশ বাহিনী ইজিয়াম শহরকে তাদের প্রধান অভিযানগুলোর কৌশলগত ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছিল। দোনেৎস্ক, লুহানস্ক এবং ডনবাসে মাসব্যাপী অভিযান চালায় তারা। রাশিয়ার হাত থেকে প্রায় দুই হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা মুক্ত করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। সূত্র- রয়টার্স।
সম্প্রতি পোল্যান্ড এবং ইউক্রেন সীমান্তের কাছে অবস্থিত ব্রিস্ট শহরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশ। দেশটি তার ভূখণ্ড ব্যবহার করে ইউক্রেন আক্রমণে মস্কোকে সহায়তা করেছে। রাজধানী মিনস্ক এবং ভিটেবস্কের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কাছে ওই মহড়া চালানো হয়।
এদিকে ইউক্রেনকে আরও ৬৭ কোটি ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মিত্র দেশগুলোকে ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসা উচিত। বিশেষ করে, দীর্ঘ যুদ্ধে তারা যেন সফল হয় সেজন্য তাদের সামরিক সহায়তা দিতে হবে। মাত্র কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনকে নতুন করে আরও ৩০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কি নীতি অবলম্বন করবেন তা নিয়ে সবাই উৎসুক।