আন্তর্জাতিক ডেস্ক- তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও লাশের মিছিল থেমে নেই। ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনো উদ্ধার হচ্ছে মরদেহ। সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, দুই দেশে নিহতের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৮৫৮।
তুরস্কের দুর্যোগ সংস্থার তথ্যমতে, দেশটিতে অন্তত ৩৮ হাজার ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে প্রাণ গেছে ১ হাজার ৪১৪ জনের। আর সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ৪ হাজার ৪০০ জনের মতো প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
তুরস্কের স্থপতিদের সংগঠন টিএমওবিবির সভাপতি ইয়ুপ মুচু জানিয়েছেন, ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে’ সব মিলিয়ে ৫০ হাজার ৫৭৬টি ভবন ধসে পড়েছে অথবা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অনেক সময় লাগবে।
ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত মানুষও উদ্ধার হচ্ছে। গত মঙ্গলবার তুরস্কের বিধ্বস্ত একটি ভবনের নিচ থেকে অন্তত নয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ ও ২১ বছর বয়সী দুই ভাইও রয়েছে। উদ্ধারকারীদের ধারণা, এ রকম আরও কিছু মানুষ বেঁচে আছেন।
এদিকে এমন মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যেও সংঘর্ষে জড়িয়েছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গ্রুপ।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ‘দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ জানিয়েছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। ভূমিকম্পে সিরিয়ার এই অঞ্চলই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্প ও তৎপরবর্তী অন্তত ১০০ পরাঘাতের প্রভাবে তুরস্ক ও সিরিয়ার হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে।