স্টাফ রিপোর্টার \ শিল্প প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে দেশের সার্বিক কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১৩ এলাকায় বনফুল আদিবাসী গ্রীণহার্ট কলেজ প্রাঙ্গনে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে কল্পনা করা যায় না, কারণ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। করোনা মহামারীর কবলে গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত হলেও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত সাহসী সিদ্ধান্ত এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার গতিশীল নেতৃত্বেই উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এবং একসময়ের তথাকথিত তলাবিহীন ঝুড়ির দেশই এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। তাই বর্তমান সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে এই খাতে সর্বোচ্চ ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ চলাকালীন শিক্ষার্থীদের জীবন রক্ষায় দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে সরকারের দিকনির্দেশনা মোতাবেক কোভিড-১৯ টিকাসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে| শিক্ষার্থীদেরকে সর্বদা মাতা-পিতা ও শিক্ষক-শিক্ষিকার উপদেশ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে, নিয়মিত ভালভাবে লেখাপড়া করে পরীক্ষায় গৌরবোজ্জ্বল ফলাফল অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, রাজধানীর বনফুল আদিবাসী গ্রীণহার্ট কলেজটি সকল ধর্মের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও একটি কুচক্রী মহল ধর্মের দোহাই দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধ করে দেয়ার অপচেষ্টা চালালেও তাদের সেই অপচেষ্টা সফল হয়নি, সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। মন্ত্রী অতীতের ন্যায় আগামী দিনগুলোতেও বিপদে-আপদে সর্বদাই প্রতিষ্ঠানটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণসহ সার্বিক উন্নয়নে তাঁর সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গিকার করেন।
কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, এসএসসি, এইচএসসি এবং অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলসহ সার্বিক বিবেচনায় মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের রূপনগর শাখায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে একটি আধুনিক ও বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে সকলকে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানসহ সরকারী নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে অন্যান্য অতিথিবৃন্দকে সাথে নিয়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রী অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ও উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া ৩২ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।