স্টাফ রিপোর্টার- সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ বলেছেন, নানা উদ্যোগ অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষায় পরিবর্তন এনেছে। এখন আমাদের মানসম্পন্ন শিক্ষার দিকে নজর দিতে হবে।
সোমবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউনিসেফের উদ্যোগে শিশুর সুরক্ষায় প্রথম জাতীয় সম্মেলন বাংলাদেশ-২০২২ এ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সায়েমা ওয়াজেদ বলেন, ‘পুরো বিশ্বজুড়েই অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, বাংলাদেশেও আছে। আমি মনে করি, আমরা শিশুরা কতটুকু সহিংসতার সম্মুখীন হয় তা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা করি না। আমরা পোস্ট ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার নিয়ে কথা বলি। এটি অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। আমাদের নীতির নির্ধারকদের জন্যও চ্যালেঞ্জ বটে। কারণ, কমিউনিটিতে এমনকি ঘরে ঘরে বুঝাতে হবে যে, সহিংসতা একটি শিশুর বিকাশে কোনও প্রকার সহায়তা করে না।’
পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধ আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পানি থেকে নিরাপদ থাকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এটি নিয়ে আমাদের অনেক এনজিও কাজ করছে। শিশুদের শেখাতে হবে কীভাবে পানি থেকে নিরাপদে থাকা যায় এবং তাদের সাঁতার শেখানোর প্রয়োজন আছে।’
সায়েমা ওয়াজেদ বলেন, ‘শুধু সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে শিশুদের জন্য বিনিয়োগ করলে হবে না। আমাদের প্রত্যেককে এ নিয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে অনেক এলাকায় এমন মানুষ আছেন, যারা সত্যিই জানেন না শিশুদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে।
ঢাকার দিকে তাকালে দেখা যায়, শিশুদের জন্য নিরাপদ খেলার জায়গা কোথায়? প্রত্যেকটি শিশু সম্ভাবনাময় এবং প্রত্যেকটি শিশু যেন সমাজে কিছু না কিছু কন্ট্রিবিউট করতে পারে, আমাদের শুধু সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। শিশুরা নীতি নির্ধারণ করে না, তারা পরিবেশও তৈরি করতে পারবে না। পরিবেশ আমরা তৈরি করি এবং শিশুরা তাতে সন্নিবেশিত হয়।’
এসময় সমাজকর্মী বাড়ানোর বিষয়ে তিনি গুরুত্বারোপ করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি শেলডোন ইয়েট প্রমুখ।