স্টাফ রির্পোটার- গত চার মাস ২২ দিনে ঢাকা বিভাগের ছয় জেলায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের ৪ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। তারপরও এনআইডি সংশোধনের আবেদনের লাগাম টানা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন এনআইডি কর্মকর্তারা।
এজন্য এনআইডির সংশোধনের সমস্যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে গতি বাড়াতে বলেছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। তিনি বলেছেন, লজিস্টিকের অভাব থাকতে পারে কিন্তু তারপরেও জাতীয় পরিচয়পত্রের সেবার গতি আরও বাড়াতে হবে। তা না হলে নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ঢাকা অঞ্চলের সব পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। সভায় নির্বাচন কমিশন সচিবসহ এনআইডি মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম সমন্বয় সভায় জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদন, নিষ্পত্তি ও অনিষ্পত্তি সংক্রান্ত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী এই ছয় জেলার তথ্যাদি তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১ মে থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ছয় জেলায় তিন ক্যাটাগরিতে এনআইডি সংশোধনের আবেদন জমা পড়ে ৪ লাখ ৮ হাজার ৯৮৭টি। এর মধ্যে নিষ্পত্তির সংখ্যা ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৪টি। এছাড়া, নতুন ভোটার আবেদন এবং এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং ইভিএম নিয়ে কথা বলেন ঢাকা অঞ্চলের কর্মকর্তারা।
এ সময় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর বলেন, হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে যারা ১০ আঙুলের ছাপ দেয়নি, জানুয়ারি থেকে তাদের ১০ আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে।
ইসি সচিব বলেন, নানা কিছুর অভাব থাকতে পারে, তারপরেও জাতীয় পরিচয়পত্রের সেবার গতি আরও বাড়াতে হবে। সেটি না করা গেলে মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হবেন নাগরিকেরাই।
খারাপ কাজ করলে তিরস্কার এবং ভালো কাজ করলে পুরস্কার দেওয়া হবে উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন ভোটার তৈরি এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কেউ যেন ভোটার না হতে পারে সে বিষয়ে সজাগ রয়েছে নির্বাচন কমিশন।