Search
Close this search box.
রিজার্ভ চুরির মামলা

তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ৬৭ বারের মতো পেছালো

স্টাফ রির্পোটার – বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন পেছালো। পরবর্তী প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আগামী ১৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে ৬৭ বারের মতো তদন্ত প্রতিবেদন পেছালো।

রবিবার এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট  আরাফাতুল রাকিব নতুন এই দিন ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। ওই বছরের ১৫ মার্চ এ বিষয়ে মতিঝিল থানায় মামলা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা। ১৬ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

এদিকে গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ২০১৪ সাল থেকেই বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশটির কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক নিয়ে অনলাইনে গবেষণা শুরু করেছিল হ্যাকাররা। পরে ২০১৬ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারিতে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করতে সমর্থ হয়।

ঠিক কীভাবে এই চুরির কাজটি হয়েছিল, সে বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো বা এফবিআই। যুক্তরাষ্ট্রে গত বছরে ক্যালিফোর্নিয়া ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে এফবিআই একটি ফৌজদারি মামলার নথিতে এই ব্যাখ্যা দেয়। রিজার্ভ চুরির ওই ঘটনা সারাবিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করলেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গত তিনবছরেও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।

তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার ওই নথি অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৭ই অক্টোবর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংককে টার্গেট বানিয়ে আসছে হ্যাকাররা।

সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিশ্বজুড়ে বেশকয়েকটি সাইবার হামলার পেছনে ‘পার্ক জিন হিয়ক’ নামে উত্তর কোরিয়ার এক নাগরিককে দায়ী করে এফবিআই।

সংস্থাটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিটাল যন্ত্রপাতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ইলেকট্রনিক তথ্য-প্রমাণাদি থেকে জানতে পেরেছে রিজার্ভ চুরির জন্য সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করতে মূলত চারটি ইমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছিল হ্যাকাররা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ