Search
Close this search box.

সৎ সাহস থাকলে তারেক দেশে আসুক  –কাদের

স্টাফ রিপোর্টার- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বুকে সৎ সাহস থাকলে তাকে দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তারেককে সাজাপ্রাপ্ত আসামি উল্লেখ করে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার কৃত অপরাধের শাস্তি কার্যকরের আহ্বানও জানান মন্ত্রী।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ষড়যন্ত্রমূলক, বিভ্রান্তিকর, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন সরকারকে সরাতে না পারলে নাকি জাতির অস্তিত্ব থাকবে না। আমরা বলতে চাই, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের অস্তিত্ব, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সুরক্ষায় মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী আত্মত্যাগ করেছে। এদেশের অর্থবহ অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অস্তিত্ব সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আর্থ-সামাজিক ও ভূরাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের অবস্থান অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে আরও সুসংহত হয়েছে। বরং বিরোধিতার নামে বিএনপিই এদেশের অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ব্যালটের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের রায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় মাথা পেতে গ্রহণ করেছে। নির্বাচন ব্যতীত অন্য কোনো চোরাগলি দিয়ে সরকারকে উৎখাত করার সুযোগ নেই। নির্বাচনই সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ।

এ সময় বিএনপি নিজেদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব ও ব্যর্থতা ঢাকতে কত কথাই বলছে! এসব কথায় জনগণ কান দেয় না বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপিকে বলতে চাই, জাতির অস্তিত্ব হাজার বছর ধরে ছিল, আছে এবং থাকবে। বরং হঠকারী রাজনীতির জন্য বিএনপির অস্তিত্ব টিকে থাকবে কিনা সেটাই আজ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপিই হলো এদেশের অস্তিত্ব, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির প্রধান অন্তরায়। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মতো পাশবিক মানসিকতা লালন-পালনকারী বিএনপি এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে গণহত্যা সংগঠনকারী মানবতাবিরোধী অপরাধী খুনি তারেক রহমানই হলো এদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রধান প্রতিবন্ধক। তারা তাদের তথাকথিত ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ আন্দোলনের নামে কার্যত হাওয়া ভবনের দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন, স্বেচ্ছাচারিতা এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের প্রত্যাবর্তন ঘটাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা না কি তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করছে।

তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কে বাধা দিচ্ছে, জানতে চেয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা চাই, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার কৃত অপরাধের শান্তি কার্যকর করা হোক। বুকে সৎ সাহস থাকলে সে দেশে ফিরে আসুক। তার জন্য আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। বিএনপি বলছে আওয়ামী লীগ নাকি সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ। তাহলে বিরোধীদল হিসেবে বিএনপি কি সফল? আন্দোলন ও নির্বাচনে যাদের ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই নেই- তাদের মুখে এ কথা মানায় না।

ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তমুখী রাজনীতি ছাড়া বিরোধীদল হিসেবে বিএনপির ভূমিকা কি, প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনা মোকাবিলা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ জাতির কোনো প্রয়োজনেই তো বিএনপিকে দায়িত্বশীল বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। বরং এদেশের যা কিছু নেতিবাচক ও কলঙ্কজনক অধ্যায়, যত নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড তার প্রায় সবই বিএনপির নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছে। তাদের হাতে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সংবিধান ও জনগণ নিরাপদ নয়।

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন ব্যতীত অন্য কোনো চোরাগলি দিয়ে সরকারকে উৎখাত করার সুযোগ নেই। এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন ওবায়দুল কাদের।

সরকারকে সরাতে না পারলে জাতির অস্তিত্ব থাকবে না—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিই হচ্ছে বাংলাদেশের অস্তিত্ব, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির প্রধান অন্তরায়।

কাজেই এ দেশের অর্থবহ অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্রপ্রহরী আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অস্তিত্ব সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর আজ প্রতিষ্ঠিত।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আর্থসামাজিক ও ভূরাজনৈতিক সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের অবস্থান অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও সুসংহত হয়েছে। তিনি বিবৃতিতে বিএনপির উদ্দেশে বলেন, বরং বিরোধিতার নামে তারাই এ দেশের অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মতো পাশবিক মানসিকতা লালন-পালনকারী বিএনপি এবং ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে গণহত্যা সংঘটনকারী অপরাধী খুনি তারেক রহমান ও তাঁর দলের নেতারাই হলো এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রধান প্রতিবন্ধক।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, জাতির অস্তিত্ব হাজার বছর ধরে ছিল, আছে এবং থাকবে। বরং হঠকারী রাজনীতির জন্য বিএনপির অস্তিত্ব টিকে থাকবে কি না, সেটাই আজ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দেশে ফিরিয়ে আনাই বিএনপির আন্দোলন, এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, তাদের পলাতক আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাধাটা দিচ্ছে কে? বরং আওয়ামী লীগ এবং সরকারও চায় তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে কৃত অপরাধের শাস্তি কার্যকর করা হোক।

কাদের বলেন, বুকে সৎসাহস থাকলে সে দেশে ফিরে আসুক, এ জন্য আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। আওয়ামী লীগ সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ—বিএনপির এমন দাবির বিষয়ে দলটির মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাহলে কি বিএনপি বিরোধী দল হিসেবে সফল? আন্দোলন ও নির্বাচনে যাদের ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই নেই, তাদের মুখে এ কথা মানায় না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ