ডেস্ক রিপোর্ট- ঠাকুরগাঁওয়ে এক রাতে ১২ মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
সোমবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগ এবং ক্ষোভের সাথে সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় তিনটি ইউনিয়নে এক রাতে ১২টি মন্দিরের ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের পাশাপাশি সকল মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ভয় বিরাজ করছে। তিনটি ইউনিয়নে একরাতে একযোগে ১২টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাটি পরিকল্পিত, এবং এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই করা হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
এই ধরনের সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক ঘটনা সামাজিক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করে এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই ঘটনা ঘটার ২৪ ঘন্টা পরও ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি যায়নি। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ অবিলম্বে এই ঘটনার সাথে জড়িত দুস্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। এই ধরনের অপতৎপরতারোধে প্রশাসনকে আরও জোড়ালো ভূমিকা রাখার আহব্বান জানাচ্ছে এবং একইসাথে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সহাবস্থান, সম্প্রীতি, শান্তি, সৌহার্দ রক্ষার জন্য সরকার, প্রশাসন, রাজনৈতিকদল, সামাজিক নাগরিক সকল শক্তিকে সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহব্বান জানাচ্ছে।