Search
Close this search box.
সৌদি আরবে ডিএপি সার কারখানা স্থাপন

সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে দুই কোম্পানীর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

স্টাফ রিপোর্টার- সৌদি আরবে একটি ডাই-এমোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই এর জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এর সাথে সৌদি আরবের হানওয়া সৌদি কনস্ট্রাকশন কোং এর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে সৌদি আরবের রিয়াদ হতে ভার্চুয়ালী যুক্ত হন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এবং সৌদি প্রতিষ্ঠান এইচএসসিসি’র সিনিয়র জনসংযোগ পরিচালক আব্দুল আজিজ ডুহাইম।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মো: সাইদুর রহমানসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিসিআইসি’র সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) সমীর বিশ্বাস এবং হানওয়া সৌদি কনস্ট্রাকশন কোং এর পক্ষে সিনিয়র জনসংযোগ পরিচালক আব্দুল আজিজ ডুহাইম।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী এইচএসসিসি একটি ডিএপি কারখানা প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখবে। ২০২৪ সালের মধ্যে এইচএসসিসি তাদের অর্থায়নে এ সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্প সম্পাদন করবে। বিসিআইসি প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত দিয়ে তাদের সহায়তা করবে। এ সমঝোতা স্মারকের উদ্দেশ্য হলো উভয় পক্ষের মাঝে আলাপ আলোচনা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট চুক্তির পথরেখা তৈরি করা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরের সময় ডিএপি সার কারখানা স্থাপনের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। আমরা সৌদি আরবের উপযুক্ত কোনো জায়গায় একটি ডিএপি সার কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে সম্ভাবত্য যাচাইয়ের জন্য এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করলাম। তিনি আরও বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশে ডিএপি সারের চাহিদা সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন। চট্রগ্রাম ডিএপি সার কারখানায় আমরা উৎপাদন করি প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন। বাকীটা আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাস নেই। এর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল রক ফসফেট ও ফসফরিক এসিড নেই। কাজেই সৌদি আরবে কারখানা স্থাপন যৌক্তিক হবে। কারখানা স্থাপন প্রক্রিয়া যৌথ বিনিয়োগে হতে পারে। আমরা আলাপ আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে শিল্পমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ