মহাখালী থেকে গুলশান-১ সার্কেল পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, লম্বা রাস্তাটির ফুটপাত ও সড়ক বিভাজনে সব ধরনের বৃক্ষ রোপণের দায়িত্ব বন অধিদপ্তরের। জনগণ যেন চেরি ফুল দেখতে বিদেশ না গিয়ে এ রাস্তায় আসে। যত ধরনের সাহায্য দরকার উত্তর সিটি করপোরেশন তা করবে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে মহাখালীর প্রধান সড়কে ডিএনসিসি ও বন অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে মহাখালী থেকে গুলশান-১ সার্কেল পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেকে বাচ্চা দত্তক নেয়। সে বড় করে তুলেন। ঠিক অনুরূপভাবে মহাখালী আমতলী থেকে বাড্ডা পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিমের রাস্তা বন অধিদপ্তরকে দেওয়া হলো বলে জানিয়েছেন
তিনি বলেন, যে গাছ অক্সিজেন দেয়, সেই গাছ আমরা কেটে ফেলছি। আমরা কত বড় নিষ্ঠুর গাছ কেটে ফেলছি। রোগী যখন হাসপাতালে যায় তখন আমাদের অক্সিজেন কিনতে হয়। কত দাম অক্সিজেন সিলিন্ডারের। মাঝে মধ্যে অক্সিজেনের সিলিন্ডার খুঁজে পাওয়া যায় না। আল্লাহর দান অক্সিজেন আমরা বিনা পয়সায় নিচ্ছি। আপনারা দেখেছেন যে ঠিকাদার গাছ কেটেছে তাদের আমি কালো তালিকা ভুক্ত করেছি। যে ইঞ্জিনিয়ার দায়িত্বে ছিল তাকে আমি চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছি। এ সিটিতে কোনো গাছ কাটা যাবে না। আলাপ-আলোচনা করে তারপরে আমরা গাছ কাটবো। অক্সিজেনের জন্য আমাদের আরও অনেক গাছ দরকার।
ঢাকা শহরে একটি দিন হর্ন না বাজিয়ে গাড়ি চালানোর অনুরোধ জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এক দিকে হিট আরেক দিকে হর্ন। হিটের জন্য আমরা গাছ লাগাচ্ছি। কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন হর্নকে না বলুন অভিযানে নামবো। হর্ন কেউ বাজাতে পারবে না। এ হর্ন আমাদের শেষ করে দিচ্ছে।