তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কিছু বিবৃতিজীবী আছেন, বিবৃতি দেওয়ায় তাদের পেশা। এমন কিছু বিবৃতিজীবী বাংলাদেশেও আছেন। কিন্তু ইদানিং তাদের দেখা যাচ্ছে না। দেশে যখন হরতাল-অবরোধের নামে আগুন-সন্ত্রাস, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, তখন সেসব বিবৃতিজীবীরা হারিয়ে গেছেন। তারা কোথায় হারিয়ে গেলেন? জনগণ তাদের খুঁজছে, আমিও খুঁজছি। তাদের আবার ডেঙ্গু জ্বর হলো কি না মানুষ চিন্তায় আছে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। পৃথিবীতে কিছু মানবাধিকার সংগঠন আছে, যেগুলো মূলত মানবাধিকারের ব্যবসা করে। তারা ফিলিস্তিনে দশ হাজারের বেশি নারী ও শিশু হত্যা নিয়ে বিবৃতি দেয়নি। অথচ বরিশালে একজন আরেকজনকে ঘুষি মারল এবং কোথায় কিছু মানুষ একজনকে ধাওয়া করল সেজন্য বিবৃতি দিল।তিনি বলেন, সন্ত্রাসীর মানবাধিকার নিয়েও কেউ কেউ সোচ্চার হয়। কিন্তু সে সন্ত্রাসী যে এত মানুষ মারল, সেটি নিয়ে কোনো কথাবার্তা নেই। মানবাধিকারের কথা বলে কোনো কোনো দেশকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়।ড. হাছান বলেন, ফিলিস্তিনে হামলা চালিয়ে একই হাসপাতালে একসঙ্গে ৫০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আরেকটি হাসপাতালে হামলায় আইসিইউতে থাকা সবগুলো মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। এ ধরনের চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বিশ্ববেনিয়ারা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছে। আবার ইসরায়েলি বাহিনী যাতে ভালোমতো বোমা বর্ষণ করতে পারে সেজন্য সহায়তাও করছে। বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এ মানবাধিকার লঙ্ঘনে আমরা চুপ থাকতে পারি না। আমি প্রথম থেকেই এটার বিরুদ্ধে সোচ্চার আছি এবং থাকব। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে গিয়ে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, সিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি রুবেল খান, সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটু ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিকসহ অন্যান্যরা।