রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানার পৃথক ৯ মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) এসব মামলায় তার জামিন আবেদনের শুনানি হবে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে এসব মামলায় নিজেকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য (শোন অ্যারেস্ট) আবেদন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখান।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ফখরুলের জামিন শুনানি বিলম্ব সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল বলেন,ফখরুলকে শোনঅ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে আগামীকাল পূণাঙ্গ জামিন শুনানি হবে।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতের কাছে আবেদন করলে আদালত ১ জানুয়ারি শুনানির দিন ঠিক করেন। পরে বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) পৃথক ওই ৯ মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনানুযায়ী তা নিষ্পত্তি করতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে ১৪ ডিসেম্বর রিট করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রিটে ১০টির মধ্যে পল্টন থানার ৭টি এবং রমনা থানার ৩টি মামলার কথা উল্লেখ রয়েছে। মামলাগুলো ঢাকার সিএমএম আদালতে বিচারাধীন।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন রমনা মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়। এ মামলায় ওই দিনই মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলায় গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর জামিন চেয়ে ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আবেদনের শুনানি নিয়ে ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে ওই মামলায় মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।