Search
Close this search box.

রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২০.৪ বিলিয়ন ডলার

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় ১২৭ কোটি ডলার বা এক দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা কমে ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দিন শেষে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার আকুর দায় পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বা আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি মতে (বিপিএম৬ অনুযায়ী) দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ২০ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) দেশে পণ্য আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৫৭২ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের। একই সময়ে দেশ থেকে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৯৬ কোটি ডলার মূল্যের। এতে বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৪৭৬ কোটি ডলার।

দেশীয় মুদ্রার (প্রতি এক ডলার সমান ১০৯ টাকা ধরে) হিসাবে পাঁচ মাসে এই বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৫১ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা। আর গত বছরের একই সময়ে (২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর) বাণিজ্যে ঘাটতি ছিল ১ হাজার ১৮২ কোটি ডলার। অর্থাৎ সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ (৫৯ দশমিক ৭২ শতাংশ)।

২০২১ সালের আগস্ট মাসে দেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। তবে ২০১৭ সালে রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল। আর বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ৩২ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামায় ছিল।

তবে করোনা-পরবর্তী সময়ে বিশ্ববাজারে সুদহার অনেক কমে আসে। এতে অনেক দেশ বিদেশি ঋণ কমালেও বাংলাদেশে বেড়ে যায়। এ কারণে আগের ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বাড়তি চাপ তৈরি হয়।

অন্যদিকে, দেশের মধ্যে তীব্র ডলার সংকটে খোলাবাজার পরিস্থিতিও টালমাটাল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে সংকট আরও জটিল হয়। এ কারণে বাধাগ্রস্ত হয় এলসি খোলা। অনেক ব্যাংক এখনো এলসি খুলতে পারছে না, নিষ্পত্তিতেও ভোগান্তিতে পড়েছে। আর বাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ করে জরুরি পণ্য আমদানিতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ কারণে প্রতি মাসে বাজারে ডলার চলে যাওয়ায় কমছে রিজার্ভের পরিমাণ

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ