নিয়মিত ঋণ পরিশোধ না করে যারা ইচ্ছা খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন তারা বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। এখন থেকে তারা নতুন করে জমি বাড়ি-গাড়ি কিনতে পারবেন না। নতুন কোনো ব্যবসাও খুলতে পারবেন না।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। সভা শেষে এসব তথ্য জানান ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মো. নাসের।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নতুন পথনকশায় খেলাপি ঋণ অবলোপন, অবলোপন ঋণ আদায় জোরদার, খেলাপিদের আর ছাড় না দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি শেয়ারধারী পরিচালকদের যোগ্যতা নির্ধারণ, যোগ্য স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ, সীমার বেশি ঋণ না দেওয়া, দুর্বল ব্যাংককে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনা এখন একজন গ্রাহক যে ঋণ নিতে পারে, তার বেশি ঋণ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। কয়েকটি দুর্বল ব্যাংককে অপেক্ষাকৃত ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হবে। এতে একীভূত হওয়ার তিন বছর পর্যন্ত কাউকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না। এর মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ শক্তিশালী হবে, মূলধন ঘাটতি দূর হবে ও খরচ কমে আসবে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের পদোন্নতিতে মৌলিক প্রশিক্ষণ ও ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বাধ্যতামূলক করা হবে।