Search
Close this search box.
নতুন দেশে বৈদেশিক কর্মসংস্থান খুঁজতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

এখনকার কূটনীতি শুধু রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক কূটনীতির স্তরে নিতে হবে – প্রধানমন্ত্রী

এখনকার কূটনীতি শুধু রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক কূটনীতির স্তরে নিতে হবে - প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দূতাবাসগুলোতে নির্দেশনা দেয়া আছে, এখনকার কূটনীতি শুধু রাজনৈতিক নয়, এটা এখন অর্থনৈতিক কূটনীতির স্তরে নিতে হবে। নতুন দেশে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ অন্বেষণ ও সেখানে দক্ষ কর্মী প্রেরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে দেশে বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রবিবার গণভবনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র ও নতুন দেশ (কর্মী পাঠানোর জন্য) খুঁজে বের করতে হবে। আমরা একটি দেশের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের (শ্রমিকদের জন্য) ব্যবস্থা করব।

সরকার ইতোমধ্যে কয়েকটি নতুন দেশে কর্মী পাঠানো শুরু করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দক্ষ কর্মী পাঠাতে হবে। সেজন্য আমরা আমাদের কর্মীদের জন্য বহুমুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমরা যদি যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী পাঠাতে পারি তাহলে আমাদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা অর্জনের একটি বড় সুযোগ রয়েছে। প্রবাসী শ্রমিকরা যেন ভালো থাকে ও বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন দেশে আমাদের প্রচুর কর্মী রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন নতুন স্থান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে নতুন কিছু জায়গায় আমরা আমাদের কর্মী পাঠাচ্ছি। আরেকটা হচ্ছে দক্ষ কর্মী আমাদের পাঠাতে হবে।

দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরা যদি দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে পারি, তাহলে আমাদের বিরাট একটা সুযোগ সৃষ্টি হবে।

দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদানের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা বিদেশে যাচ্ছেন, কাজ করছেন তারা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছেন। কাজেই আমাদের সব সময় এটাই প্রচেষ্টা থাকবে যারা বিদেশ যাবে তারা যেন সঠিকভাবে, সঠিক কর্মসংস্থান নিয়েই যেন যেতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের প্রায় ৮০ লাখ মানুষ বিদেশে, যাদের রেমিট্যান্স আমরা পেয়ে থাকি।

প্রবাসে কাজ করতে গিয়ে কারও ধোঁকাবাজিতে যাতে কেউ না পড়েন, সে জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা দরকার বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে যারা বিদেশ যাচ্ছেন, তারা নয়, বিপদে পড়ছেন যারা দালাল ধরে যাচ্ছেন তারা। তাদের বিপদ হলে উদ্ধারও করতে হয় সরকারকেই।

শেখ হাসিনা বলেন, কর্মসংস্থানের নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে হবে। কোন দেশে কী কী দক্ষতা প্রয়োজন, সেভাবেই বহুমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মী তৈরির ব্যবস্থা করা হবে। সেই সঙ্গে প্রবাসে গিয়ে কারও ধোঁকাবাজিতে কেউ যাতে না পড়েন, সে জন্য ব্যাপক প্রচার চালানো দরকার।

তিনি বলেন, এছাড়া অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠালে তা অন্য খাতে চলে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় টাকা বেহাতও হয়ে যায়। তাই বৈধ পথে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠালে সবার জন্যই ভালো। বর্তমান সরকার বিদেশ থেকে বাংলাদেশে অর্থ পাঠানোর পদ্ধতি আরও সহজ করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রয়োজনে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে এলাকাভিত্তিক এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ