স্টাফ রিপোর্টার ॥ সকল দখলদারিত্ব মুক্ত করে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের পুনঃখনন কাজ এ মাসেই শুরু করা হবে। এমনই প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। নগরীর নাসিরাবাদে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মেয়র তাপস এমন আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আজকের এই উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা ৫৩টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন করলাম। আমরা আশাবাদী এ বছরের মধ্যেই বাকিগুলো সম্পন্ন করতে পারব।’
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গা পুনঃখনন কার্যক্রমের দরপত্র সম্পন্নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আমরা আশাবাদী, এ মাসের মধ্যেই এটা শুভ উদ্বোধন করতে পারব। এখানে যত রকম দখল রয়েছে – বড় কারখানা বলেন কিংবা ব্যক্তিগত দখল বলেন, সব দখলমুক্ত করে আমরা পুরো আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের সীমানা নির্ধারণ করে পুনঃখননের কাজ আরম্ভ করব।’
শেখ তাপস আরও বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ একর জমি অবমুক্ত করেছি। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, খালের মুখ যেখানে ১০০ ফুট ছিল সেগুলো দখল করে তা ৮ ফুট পর্যন্ত কমিয়ে আনা হয়েছিল। আমরা সেগুলো দখলমুক্ত করেছি। অবৈধভাবে নির্মিত দশ তলা ভবনও আমরা ভেঙ্গে ফেলেছি। সুতরাং যখন আমরা শুরু করব, ইনশাআল্লাহ, এখানেও বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কোনো কারণ থাকবে না। আমরা পুরোটাই দখলমুক্ত করে, অবমুক্ত করে, পূর্ণাঙ্গরূপে আদি বুড়িগঙ্গাকে পূর্বের অবস্থানে নিয়ে আসব, নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব।’
‘আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর প্রক্রিয়া বাকি আছে কিন্তু বর্ষা মৌসুম তো থেমে থাকবে না। আপনারা জানেন যে, সরকারি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় একটু বিলম্ব হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত যেহেতু হয়েছে তাই এই স্লুইচগেটগুলো আমাদেরকে হস্তান্তর করা হবে। এরইমাঝে কিভাবে সেগুলো সচল রাখা যায়, আমরা সেই প্রক্রিয়া নিয়ে নিয়েছি।’
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস নগরীর নর্থসাউথ রোড ও তাতীবাজার মোড়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে নর্দমার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের, সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।