স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শনিবার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর এনজিওগ্রাম করা হয়। হার্টে একটি ব্লক ছিল ৯৫ শতাংশ। রিং পরানো হয়। হৃৎপিণ্ডে আরো দুটি ব্লকসহ নানা জটিলতার কারণে ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয় খালেদা জিয়াকে। এখন আরও এক সপ্তাহ নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া।
রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিতও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। গতকাল সোমবার বিকেলে শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসে মেডিক্যাল বোর্ড। যত দ্রুত সম্ভব তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছে বোর্ড। একইসঙ্গে আগামী মঙ্গলবার থেকে ধীরে ধীরে হাঁটার পরামর্শও দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। তার প্রেসার ও কিডনিসহ অন্যান্য জটিলতা কমলে হার্টের বাকি দুটি ব্লকের চিকিৎসা শুরু করা হবে।’ এভার কেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে মেডিক্যাল বোর্ডের সোমবারের বৈঠকে ১৯ সদস্যের মধ্যে ৭ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এতে লন্ডন ও আমেরিকা থেকে বিদেশি চিকিৎসকরা অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে যোগ দেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমানও জুমে যুক্ত ছিলেন।
অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মেডিক্যাল বোর্ড ম্যাডামের সর্বশেষ অবস্থা এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করেছেন। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, উনাকে আরও কিছু দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখবেন। ম্যাডামের এনজিওগ্রাম করার পর মেডিক্যাল বোর্ড ৭২ ঘণ্টার অবজারভেশনে রেখেছেন। সেটা শেষ হবে আজ মঙ্গলবার। বিকেল ৫টায় মেডিক্যাল বোর্ড বসবে। এটা নিয়মিত বৈঠক। চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন।’ খালেদা জিয়া পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিস ছাড়াও অনেক দিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার হার্টে বাকি দুটি ব্লকে রিং পরানোর মতো শারীরিক অবস্থা নেই বলে জানিয়েছেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক মোহাম্মদ মামুন। তিনি বলেছেন, ‘এখনো বেগম খালেদা জিয়ার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়নি।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকার চাইলেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পারে। এক্ষেত্রে আইন কোনো বাধা নয়।’