Search
Close this search box.

বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে সিলেটে প্রধানমন্ত্রী

যে কোনো দুর্যোগে আমরা সব সময় মানুষের পাশে থাকি : প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে সিলেটে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে হেলিকপ্টারে করে রওনা দেন তিনি। সিলেটের পাশাপশি সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনার বন্যা পরিস্থিতিও পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি অনুযায়ী, হেলিকপ্টারযোগে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি। সেখানে নির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

আগে থেকেই জানা ছিল প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের পাশাপাশি সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিও পরিদর্শন করবেন। দেশের বন্যা পরিস্থিতিতে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে উল্লেখ করে এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‌‘এবার বন্যা একটু বড় আকারে আসবে—এমন আশঙ্কার কথা সরকারের সবাইকে আগেই জানিয়েছি। ফলে আগে থেকে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। বন্যায় যেন মানুষের কষ্ট না হয়, সেজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সুনামগঞ্জের পানি একটু কমতে শুরু করেছে। এ পানি যখন নামবে, মধ্যাঞ্চল প্লাবিত হবে, এরপর আবার দক্ষিণাঞ্চল প্লাবিত হবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম।’

প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধারকাজ—সবই করছি। প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী থেকে শুরু করে সব প্রতিষ্ঠান উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও সহযোগিতা করছে, ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ করছে। স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানির ট্যাবলেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে অন্যান্য ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। পানি নেমে গেলে যে পরিস্থিতি হতে পারে, তা মোকাবিলায় সব প্রস্তুতিও আমরা নিচ্ছি।’

শেখ হাসিনা আরও বলেছিলেন, ‘ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগেও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। সেটার জন্য আগে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি। পানি নিষ্কাশনের জন্য যা যা ব্যবস্থা আছে, যেগুলোও করে যাব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘দেশে ১০ থেকে ১২ বছর পরপর এ ধরনের বড় বন্যা আসে। বন্যার বিষয়ে সবাইকে অনেক আগে থেকেই সতর্ক করেছিলাম। আমাদের সরকারের সবাইকে বলেছিলাম, এবার কিন্তু বন্যাটা একটু বড় আকারে আসবে। কাজেই আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। ফলে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। এই পানি যখন নামবে, মধ্যাঞ্চল যখন প্লাবিত হবে, ঠিক শ্রাবণ মাস পর্যন্ত থাকবে। শ্রাবণ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত আবার দক্ষিণাঞ্চল প্লাবিত হবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ