স্টাফ রিপোর্টার \ শিল্প প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বলেছেন, কোরবানীর প্রকৃত মর্ম অনুধাবন করে ত্যাগের মহিমায় সবার জীবনকে মহিমান্বিত করতে হবে এবং নিজেদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা পশুত্বকে পরিহার করে মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তুলতে হবে।
শুক্রবার দুপুরে মিরপুর-১৩ এলাকায় দারুল উলুম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায়ের পূর্বে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী সকলকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রত্যককেই সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হয়ে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। সমাজের বিত্তবানদেরকে এতিমসহ সকল অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, তাদেরকে সাধ্য মোতাবেক সাহায্য ও সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার অসীম সাহসিকতায় দেশী-বিদেশী নানান ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু আজ বিশ্বের বুকে এদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সক্ষমতার প্রতীক।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীর কবলে গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত হলেও পরম করুণাময়ের অসীম কৃপায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সার্বিক কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার সৃজনশীল নেতৃত্বেই বিদ্যমান করোনাসহ সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে, ইনশাআল্লাহ।
তিনি এসময় বলেন, শেখ হাসিনাই কওমী সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ স্থাপন করেছেন এবং ইসলামের প্রচার ও প্রসারে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী জুম্মার নামাজের পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় পরিচালিত বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।