স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফেরাতে কূটনীতিক সহযোগিতা চান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আইনমন্ত্রী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশন গঠিত হবে। তবে এই কমিশন কারো বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য নয়, এটা সত্যকে জানার জন্যই গঠিত হবে। শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে কূটনীতিকদের নিয়ে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় এমন কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে মানবাধিকার নিয়ে বিএনপির নালিশের সমালোচনা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কেন দায়মুক্তি অধ্যাদেশ সংসদে পাস করিয়ে নিয়েছিলেন; সে প্রশ্ন করতে কূটনীতিকদের আহ্বান জানান তিনি। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটি ধানমন্ডির-৩২ নম্বরে ‘ইতিহাসের ইতিহাস: আগস্টের অমোচনীয় চিহ্ন’ – শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ইমডেমনিটি আইন তৈরি করে এই হত্যার বিচারে বাধা দেওয়া হয়। সে কারণেই পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা প্রতিষ্ঠিত হয়। খুনিরা দূতাবাসে চাকরি পায়। আর এই আইন হওয়ার ফলেই খুনি ফারুক -রশিদরা ইনজয় করেছিলেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের অক্টোবরে আওয়ামী লীগ সরকার ইমডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরে জাতীয় সংসদে বাতিল করা হয়। এই আইনটি ছিল কালো অধ্যায়।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই নয়, তারা দেশকেই হত্যা করতে চেয়েছিল। আর ইমডেমনিটি আইন তৈরি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন জিয়াউর রহমান। আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলি, এ দেশে সবচেয় বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন জিয়াউর রহমান। কেন জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধে ইমডেমনিটি করেছেন, এটা বিএনপিকে জিজ্ঞাসা করতে হবে। তিনি হাজারো সেনা অফিসারকেও হত্যা করেছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা ইমডেমনিটি আইন বাতিল করে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছি। আর এই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার রোড ম্যাপ তৈরি করেছেন শেখ হাসিনা। আমরা দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করছি।
আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। এতে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান। আলোচনা সভায় সভাপতি ছিলেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জমির। এতে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব ড. শাম্মি আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা অংশ নেন। পরে কূটনীতিকরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন করেন।