স্টাফ রিপোর্টার – বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে। তবে এখানে একটি যদি চিহৃ আছে। সেটা কী? দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলেই কেবল মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শনিবার সকালে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ১৪৭তম রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষ মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তির মেয়াদের আবেদন পেলেই সরকার তা আবারও বাড়াবে।
এ সময় বিচারকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ঋণখেলাপিরা দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তাই ঋণখেলাপিদের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। এ ছাড়া মামলার শুনানিতে ঋণখেলাপিদের অযৌক্তির সময় দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আনিসুল হক বলেন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলে ঋণ খেলাপের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার পেতে প্রতিদিন লাখো মানুষ আদালতের বারান্দায় ধরনা দিচ্ছে। আপনাদের দ্রুত বিচার (রায়) দিয়ে তাদের দুঃখ দূর করতে হবে। বিচারকদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, পদের কথা চিন্তা করে মনের কথা সবসময় বলা যাবে না, সংযত হতে হবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে। তবে আগের শর্ত দুটি থাকছেই। এরআগে যেমন খালেদা জিয়াকে নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, চিকিৎসা নিতে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দুই শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দুটি শর্ত স্বীকার করেই তিনি মুক্তি পেয়েছেন। তিনি অসুস্থ হলে আইন অনুযায়ী দেশেই (তাকে) চিকিৎসা নিতে হবে, বিদেশে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শর্তানুযায়ী, মুক্ত থাকার সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। এই দুই শর্তের সঙ্গে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলেই কেবল মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।