Search
Close this search box.

আমাদের পেশার শেষ বাতিঘরটিও চলে গেলেন

আমাদের পেশার শেষ বাতিঘরটিও চলে গেলেন

মিথুন আশরাফ – বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দৈনিক বাংলার সম্পাদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত কিংবদন্তী এ সাংবাদিকের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। অসুস্থ হলে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তোয়াব খানের মৃত্যুতে সাংবাদিকতা পেশার, আমাদের পেশার শেষ বাতিঘরটিও চলে গেলেন।

তোয়াব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরেণ্য সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে এক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, তোয়াব খান ছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের পথিকৃৎ। তার মৃত্যুতে দেশের সাংবাদিকতার অঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। রাষ্ট্রপতি হামিদ মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

তোয়াব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাবেক প্রেস সেক্রেটারি, সাবেক প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের সাবেক মহাপরিচালক, দৈনিক বাংলার সম্পাদক এবং একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী এক শোকবার্তায় তোয়াব খানের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

তোয়াব খান ১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সাংবাদিক মাওলানা আকরাম খাঁ ছিলেন তার মামা। সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৬ সালে একুশে পদক প্রদান করে। ২০১৬ সালে একুশে পদক পাওয়া তোয়াব খানের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে। দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান। দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তিনি। এরপর নতুন আঙ্গিক ও ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন তিনি।

তিনি কেবল সাংবাদিক নন, নিশ্চিতভাবেই সাংবাদিকদের সাংবাদিক। পেশাগত জীবনে প্রায় সাত দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে তিনি এক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠেন। ভূয়োদর্শী মানুষটি অন্তরে আর বাইরে সমান আধুনিক ছিলেন। সেই প্রতিফলন তাঁর পেশা ও ব্যক্তিজীবনের প্রতিটি পরতে পরতে ছিল। প্রায় নয় দশকের মুখর জীবন। মিডিয়ার মহীরূহ প্রতিম এই মানুষটির পথচলা থেমে গেল।

স্মার্ট আর স্টাইলিশ। তাঁর লেখনিতেও ফুটেছিল নির্মেদ আর তীক্ষ। ব্রিটিশ শাসনকালে শুরু যে পথের, তা আজ থেমে গেল। নানা রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক পটপরির্তন আর বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনকে সঙ্গে নিয়ে, সেই অভিজ্ঞতায় নিজেকে ঋদ্ধ করেছিলেন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলে সমসাময়িক আর আধুনিকতার তিনি ছিলেন এক অনন্য উদাহরণ।

ছেলেবেলা থেকে মা যতটা নন, ততটাই তাঁর জীবনকে প্রভাবিত করেছেন খালা (জাতীয় অধ্যাপক এবং শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এম আর খানের মা)। চার খালাতো ভাই-ই স্কলার। পিঠাপিঠি বেড়ে উঠেছেন তাঁদের সঙ্গে। আর ছিল পরিবেশ। বহমান সেখানে স্বদেশিকতার উতল হাওয়া। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলনে সরাসরি যুক্ত আত্মীয়স্বজন। মাওলানা আকরাম খাঁ এঁদের অন্যতম। তিনি মাদ্রাসা গড়েছেন বিকল্প শিক্ষায় গ্রামবাসীকে শিক্ষিত করতে। তাঁর জামাতা রেজ্জাক খান যিনি ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। মুজফ্ফর আহমেদ, ডাঙ্গেদের সঙ্গে। তিনিও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন স্থানীয় মানুষদের শিক্ষিত করে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ করতে। খেলাফত আন্দোলনের জন্য জেহাদিদের ট্রেনিং হতো তুরস্কে। যেতে হতো আফগানিস্তান হয়ে। পূর্ববাংলা থেকে সেখানে যাওয়ার ট্রানজিট পয়েন্ট ছিল এই গ্রাম। এসব খুব কাছ থেকে দেখা। এসবই তাঁর জীবনের সূচনাপর্বের অনুঘটক। তোয়াব খান পড়েছেন সাতক্ষীরার শতাব্দীপ্রাচীন পিএন (প্রাণনাথ) স্কুলে। দেশের এক প্রান্তে হলেও পিএন স্কুল ছিল সময়ের নিরীখে যথার্থ অগ্রসর আর বিশেষ বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল।

বাংলা ১৩৫০। ইংরেজি ১৯৪২। তিনি তখন মাত্র ৮ বছরের বালক। চারদিকে বুভুক্ষ মানুষের মিছিল। চরম দুর্বিষহ অবস্থা। প্রতিদিন মরছে মানুষ। সাতক্ষীরার পাকা রাস্তা দিয়ে লোহার চাকা লাগানো মরা ফেলার গাড়ি ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে ডোমেরা। পরিস্থিতির ডামাডোলে পঞ্চাশে আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। পরের বছর ম্যাট্রিক পাস করে পুরনো ঢাকায় মামার বাড়িতে চলে আসেন তোয়াব খান। তিনি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে একবার বলেছিলেন, দাঙ্গার জন্য তিন মাস আর ইরানের শাহের ঢাকা আগমন উপলক্ষে দেড় মাস পরীক্ষা পিছিয়ে গেল। ততদিনে ফার্স্ট ইয়ারের ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। তাই পরের বছর এসে ভর্তি হলাম। আমার সহপাঠী তখন আনিসুজ্জামান। আর আমাদের জুনিয়র হয়েও এক ক্লাস এগিয়ে গেল গাফ্ফররা (আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী)।

সেই তাঁর পাকাপাকিভাবে ঢাকায় চলে আসা। কিন্তু বছর না ঘুরতেই ভাষা আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। তখন এমন কোনো ছাত্র ছিল না যে আন্দোলনে যোগ দেয়নি। বাহান্ন পরবর্তীকালে বাড়ি থেকে আর্থিক সমর্থন কিছুটা অনিয়মিত হতে থাকে। তার সঙ্গে যোগ হয় বিপ্লবের নেশা। ৫৩ সালে কেজি মুস্তফার সঙ্গে বের করেন সাপ্তাহিক জনতা। এর মধ্যে দিয়ে হাতেখড়িও হয়ে যায় সাংবাদিকতা জীবনের। বকশিবাজারে এক ছাপড়া ঘরে গিয়ে নানা ধরনের বই পড়তেন। সেই পঞ্চাশেই শুধু নয়, তোয়াব খান মৃত্যুর আগ পর্যন্তও বইপোকা ছিলেন। হাতের কাছে পেলে পড়ে নিতেন যেকোনো কিছু। চেষ্টা করতেন শিক্ষা নিতে। তবে রবীন্দ্রনাথের বইগুলোই বেশি পড়া হতো। কারণ ভাষা নিয়ে খেলা ছিল অতুলনীয়। তোয়াব খানের কাজও ছিল ভাষা নিয়েই।

১৯৫৫ সালে তোয়াব খান যোগ দেন সংবাদে। ১৯৫৬ ঘটনাময় বছর হয়ে ধরা দেয় তোয়াব খানের জীবনে। সারা বিশ্বের জন্যও। মিসরের সুয়েজ খাল দখল। ব্রিটেন, ফ্রান্স ও ইসরায়েল মিলে মিসর আক্রমণ হয়। তার রেশ ঢাকাতেও লাগে। ব্রিটিশ লাইব্রেরি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। হাঙ্গেরিতে সশস্ত্র বিপ্লব হয়। মহাকাশে রাশিয়ার নভোযান স্পুটনিক উৎক্ষেপণ। রুশ প্রেসিডেন্ট বুলগানিনের ভারত সফর হয়। ১৯৫৫ সালে শুরু করে তোয়াব খান ১৯৬১ সালে বার্তা সম্পাদক হন সংবাদের। এ পদে ১৯৬৪ পর্যন্ত থেকে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে। বার্তা সম্পাদক হিসেবেই। ১৯৭২ সালে দৈনিক বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদক হন। ওই সময়ে বাংলাদেশের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে নানা বিচ্যুতি তাঁকে উদ্বুদ্ধ করে কলাম লেখায়। সত্যবাক নামে দৈনিক বাংলায় শুরু করেন ‘সত্যমিথ্যা, মিথ্যাসত্য’ শিরোনামে বিশেষ কলাম। এ কলামে উঠে আসে একটি স্বাধীন দেশের আর্থ-সামাজিক চিত্র।

১৯৭৩-৭৫ সালে তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রেস সচিব। আর ১৯৮৭ থেকে ৯১ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি এরশাদ ও প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের প্রেস সচিব। ১৯৮০-৮৭ সালে তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা। পালন করেছেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকের দায়িত্বও। মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক। তাঁর তীক্ষ লেখনি আর আকর্ষক উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয়েছে ‘পিন্ডির প্রলাপ’। স্বাধীনবাংলা বেতার নিয়ে তাঁর রয়েছে ভালো ও মন্দে মেশানো অনুভূতি।

১৯৯৯ সালে কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ ছিল থিম কান্ট্রি। সেবার অশোক কুমার স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দেন তোয়াব খান। ‘সংস্কৃতির সঙ্গে শিল্পের মেলবন্ধন’ শিরোনামে দেওয়া তাঁর বক্তৃতা বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছে। তাঁর একমাত্র বই (প্রবন্ধ সংকলন) ‘আজ এবং ফিরে দেখা কাল’-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই সুখপাঠ্য বক্তব্য।

বাংলাদেশের সংবাদপত্রে একেকটি মাইলফলক রচিত হয়েছে তাঁরই নেতৃত্বে। প্রথম চাররঙা সংবাদপত্র এর মধ্যে একটি। সংবাদপত্রে পুরো পাতা ফ্যাশন আর টেকনোলজির জন্য বরাদ্দের কথা তাঁর আগে আর কেউ ভাবেননি। দৈনিক জনকণ্ঠে তিনি সেটাই করেছেন। পাঠককে দিয়েছেন নতুন স্বাদ। এটা একদিকে যেমন পাঠকদের কথা মাথায় রেখে, তেমনি সময়ের দাবিকে মেনে। বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির যে রমরমা অবস্থা, তার নেপথ্যে দৈনিক জনকণ্ঠের ফ্যাশন পাতার রয়েছে বিশেষ ভূমিকা।

নতুন যুগের সূচনা করে দেশের প্রথম রঙিন পত্রিকা। সারাদেশে সূর্যোদয়ের আগে পৌঁছে যাওয়ায় অনিবার্য করে তুলেছে এই পত্রিকাটিকে পাঠকের জন্য। বিএনপি সরকার ক্ষমতায়, পত্রিকটির প্রথম পাতায় অনুসন্ধানী রিপোর্ট চালু করলেন “সেই রাজাকার”! সরকারের দোষ ত্রুটি দুর্নীতি অনিয়ম নিয়ে প্রতিদিন প্রথম পৃষ্ঠার প্রতিবেদন “সাধু সাবধান “পেয়ে যায় বিপুল জনপ্রিয়তা। এ রকম আরও কত কী যে তিনি যুক্ত করেছেন ঢাকার পত্রিকায়, কেউ আগে তা কখনও কল্পনাও করেননি।
সাংবাদিকদের সম্পর্কে পুরনো ধ্যান-ধারণাকেও তিনি বদলে দিয়েছেন নিজের স্টাইল স্টেটমেন্ট দিয়ে। সকালে যেমন তিনি একজিকিউটিভ ড্রেসে সচ্ছন্দ তেমনি সন্ধ্যায় ক্যাজুয়ালি ক্ল্যাসি। আর এক পোশাকে পরপর দুইদিন…কখনোই নয়। কেবল পোশাক-আশাকই নয়, সুগন্ধির প্রতিও তাঁর রয়েছে বিশেষ আগ্রহ। যদিও বিষয়টিকে তিনি একটু অন্যভাবেই দেখেন। সুগন্ধি তাঁর কাছে ফ্রেশ থাকার অনুষঙ্গ।

বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসে সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠান বলতে যা বোঝায়, তার শেষ সলতে তোয়াব খান। যদিও নিজেকে মানিক মিয়া কিংবা জহুর হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে তুলনা করতে একেবারেই নারাজ তিনি। তাঁর খেদ ছিল। তিনি একবার বলেছিলেন, আসলে এখন তো সব আইনের সম্পাদক। কেউই দায়িত্ব নিতে চায় না। কিছু হলে রিপোর্টারদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেয়। এর পাশাপাশি আরো একটা ব্যাপার হলো, সম্পাদকরা আগে মালিক, পরে সম্পাদক। এই ধারায় আবার কিছুটা ছেদ পড়েছে। এখন আর মালিক সম্পাদক হচ্ছেন না। তা বলে সম্পাদকরা যে স্বাধীন হয়ে গেছে বলা যাবে না। বরং মালিকের কথা পুরোপুরি মেনে চলতে হচ্ছে। তোয়াব খান গতবছর শেষদিকে আবার দৈনিক বাংলায় সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। সুদীর্ঘ বর্ণাঢ্য কর্মজীবন। তা সত্ত্বেও রয়েছে তাঁর বিশেষ অতৃপ্তি। বলতেন, আরো কিছু করে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু পারিনি। তাঁর সেই অসমাপ্ত কাজ হয়তো করবে আগামী প্রজন্ম। আর তা তারা করবে সত্যিকারের বস্তুনিষ্ঠ থেকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ