স্টাফ রির্পোটার – সকল ধর্মের উৎসব আয়োজনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সবসময় পাশে আছে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য। সম্মিলিতভাবে এ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে হবে আমাদের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায়। আবহমান বাঙালি সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ অসাম্প্রদায়িক চেতনা, পারস্পরিক ঐক্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।
রবিবার বিকালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের হল রুমে শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা’র সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান ও কাউন্সিলরবৃন্দ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মোঃ আবু ইউসুফ এবং ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় পূজামণ্ডপে আগত শিশু ও নারী দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, যানযট নিরসণে ব্যবস্থা গ্রহণ, রাস্তাঘাট সংস্কার, বৈশ্বিক মহামরী কোভিড-১৯ এ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, ‘দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, সামাজিক উৎসবও। দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশী একত্রিত হন, মিলিত হন আনন্দ-উৎসবে। তাই এ উৎসব সার্বজনীন। এ সার্বজনীনতা প্রমাণ করে, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’
এসময় মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম পূজামণ্ডপের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ, নিয়মিত মশার ঔষধ ছিটানো, যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, রাস্তাঘাট সংস্কারে ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেন। ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিমকে সর্বদা প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ ডিএনসিসির আওতাধীন অঞ্চলের পূজামণ্ডপের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন। এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মোঃ আবু ইউসুফ পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি উপস্থাপন করেন।