স্টাফ রির্পোটার- ব্যালট বা ইভিএমের চেয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বর্তমান কমিশনের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ ছাড়া তিনি বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের লক্ষ্য থাকলেও তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আর্থিক সংস্থান যথার্থ মনে না হলে সরকার এটি বাতিল করতেও পারে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম নামের একটি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ শেষে সিইসি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ব্যালট বাক্সে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বর্তমান কমিশনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ—এমনটি জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএম বা ব্যালট মূল কথা নয়। মূল কথা হলো, সবাইকে চেষ্টা করতে হবে একটা সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ, নির্বিঘ্ন ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য।
সেই নির্বাচনে ইভিএম থাকল কি ব্যালট থাকল—সেটা বড় কথা নয়। নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক না হয় এবং সুষম প্রতিদ্বন্দ্বিতা যদি না হয়, তাহলে ইভিএম কিভাবে কাজ করবে, ব্যালট কীভাবে কাজ করবে—সে নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। কিংবা ইভিএম-ব্যালটের আদৌ প্রয়োজন হবে কি না, সে নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে জনমনে যেসব প্রশ্ন রয়েছে, সেসব সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাঁরা। ইভিএম নিয়ে যে নেগেটিভ পারসেপশন বিরাজ করছে সেটাকে দূরীভূত করার জন্য তাঁরা সচেষ্ট আছেন। আমি বলেছি, আপনারা আপনাদের কাজ করে যান। আমরা আপনাদের কোনো কাজে অংশ নিতে পারব না। এটা সম্ভব নয়। তাঁরা বলেছেন, আপনারা ইভিএম নিয়ে কোনো প্রচারণা করছেন না। আমরা বলেছি, এটা আমরা দেখব। যদি ইভিএম ব্যবহার করি তার জন্য ভোটার এডুকেশনের একটা প্ল্যান আমাদের আছে। আমরা এখনো শুরু করিনি। হয়তো শুরু করব। ’ সব রাজনৈতিক দলের প্রতি তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় বলছি আপনারা নির্বাচনে আসুন, অংশগ্রহণ করুন। অংশগ্রহণ করে নির্বাচনটাকে ফলপ্রসূ করুন। যাতে নির্বাচনটা সুন্দর হয়, জনমানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।