স্টাফ রিপোর্টার – সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামীতে রাজধানীর মত বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এরই মধ্যে সম্ভব্যতা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। শুক্রবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমন কথা বলেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী সরকারে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের বিষয়েও আলোচনা করেন। বলেন, বিএনপির ১৬ জানুয়ারির কর্মসূচিতেও রাজপথে সতর্ক অবস্থানে থাকবে আওয়ামী লীগ। এসময় তার সঙ্গে স্থানীয় নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের ৩১ জানুয়ারী চট্টগ্রামে যাবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তখনই পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, ঢাকায় মেট্রোরেল কতটুকু আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে সেটা আপনারা দেখেছেন। চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল হচ্ছে, ফিজিবিলিটি টেস্ট প্রায় শেষ। ৩১ জানুয়ারী আমি আসব, মেট্রোরেলের ফিজিবিলিটি শেষে পরবর্তী করণীয় ঠিক করব সেদিন। এখানকার নেতারা থাকবেন, সরকারের তথ্যমন্ত্রীও থাকবেন।
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেকে) সভায় ঢাকার পর চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল নির্মাণের নির্দেশ দেন। পরে চায়না রেলওয়ে কন্সট্রাকশন কোম্পানি (সিআরসিসি)-১৯ ও ডব্লিউআইইটিসি জেভি সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করে।
সেই কাজ চলার মধ্যেই গত ২৮ ডিসেম্বর ঢাকার প্রথম মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এই বৈদ্যুতিক বাহন রাজধানীর গণপরিবহনে এক নতুন মাত্রা যোগ করে।
সরকার দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট ‘কাটিয়ে উঠছে’ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ে বলেন, আমাদের নেত্রী প্রানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এখনও পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে। আমরা সঙ্কটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে যাচ্ছি। ক্রমেই রপ্তানি আয় বাড়ছে। আমাদের জিডিপি বাড়বে, চলমান অর্থনীতির ধারায় এমন বলিষ্ঠ আভাস আমরা পাচ্ছি।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলি টানেলের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখন হচ্ছে শেষ মূহুর্তের কিছু কাজ। প্রায় ৯৫ ভাগ কাজ শেষ। কোনো দুর্ঘটনা যাতে না হয় সেজন্য টানেলে প্রবেশের পূর্বে যানবাহন স্ক্যান করা হবে। সেই স্ক্যনার বসানোর কাজ চলচ্ছে। এপ্রিলে বা মে মাসে আমরা সর্ব সাধারণের জন্য খুলে দিতে পারবে।