স্টাফ রিপোর্টার – তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলতে গিয়ে বিএনপির কোমর ভেঙে গেছে। তাই তারা এখন হাঁটার কর্মসূচি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের পথেই হাঁটবে এটাই প্রত্যাশা। আগামী নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা দেখছে না বলেই তারা মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বর মাসে তারা বলেছিল সরকারের বিদায় হবে এবং সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেবে। ডিসেম্বর মাসে সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে তারা নিজেরা পড়ে গেছে। এরপর থেকে এখন তারা হাঁটা শুরু করেছে।
বিএনপি অনুধাবন করতে পেরেছে, সরকারকে ধাক্কা মারলে লাভ হবে না। সরকারের ভিত অনেক গভীরে প্রথিত। আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রথিত। সরকারকে ধাক্কা মারতে গিয়ে তাদের যে কোমর ভেঙে গেছে সেটা তাদের বর্তমান কর্মসূচির মাধ্যমে পারিষ্ফুটিত হয়েছে, বলেন হাছান মাহমুদ।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আশা করবো বিএনপি সব সময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যে থাকবে, গণতন্ত্রের পথেই হাঁটবে। এটিই হচ্ছে আমাদের প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, তাদের ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। তাদের ষড়যন্ত্র সব সময় ছিল, এখনো আছে। তারা জানে যে ২০০৮ সালে ২৯ আসন পেয়েছিল, পরে উপ-নির্বাচনে বেড়ে ৩০টি আসন অতিক্রম করে। ২০১৪ সালে বর্জন করেছিল। ২০১৮ সালে ছয়টি আসন পেয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও তাদের সম্ভাবনা যে নেই, সেটি তারা জানে। সেটি জানে বলেই তারা নির্বাচন নিয়ে, নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করার জন্য নানা ধরনের কথাবার্তা বলে।
এসময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়- যে উপনির্বাচন হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দেখা গেছে বিএনপির প্রার্থীর কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ মাঠে নেমেছে। অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, মাগুরার নির্বাচনকে হার মানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নির্বাচন।
এর উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী ছিল না। যেহেতু আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নেই, আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা যে কাউকে পছন্দ করতে পারেন। সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমাদের দলের কোনো নির্দেশনা কারও পক্ষে নামার জন্য ছিল না। যে যার পছন্দ মতো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা মাত্র তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলাম। সে তিনটি আসনে আমাদের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে। নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু সুন্দর হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উপনির্বাচনে সবসময় ভোটার উপস্থিতি কম থাকে। আর যেখানে জাতীয় নির্বাচন এক বছরের কম সময়ের মধ্যে হবে, অল্প সময়ের জন্য যেহেতু তারা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন, এখানে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। সে জন্যই ভোটার উপস্থিতি কিছু কম থাকলেও অত্যন্ত সুষ্ঠু সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গতকাল যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি অত্যন্ত ভালো নির্বাচন হয়েছে। আপনি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটার উপস্থিতির কথা ভাবেন, সেখানে ৪০ শতাংশ মানুষ ভোটার হন না। আবার যারা ভোটার হন সেখান থেকে অর্ধেক উপস্থিত হন। সার্বিক বিচারে ২৫ শতাংশ ভোট পড়ে সেখানে। সে হিসেবে আমাদের উপনির্বাচন যেটি এক বছরের কম সময়ের জন্য এমপি নির্বাচিত হবেন অনেক ভালো হয়েছে।