স্টাফ রিপোর্টার – বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মিথ্যার আর হত্যার। ১৯৭৫ সালের পরে বিএনপি যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছিল তখন থেকেই বিএনপি হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। হত্যার রাজনীতি এবং মিথ্যা কথা বলার রাজনীতি – এটাই বিএনপির আদর্শ। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০০১ সালে বিএনপি যখন আবারও ক্ষমতা দখল করে, তখন বাংলার জনগণের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, ভাই-বোন পরিবার কাউকে তারা বাদ দেয়নি। শনিবার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে সমবেত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ঘটনা সবাই জানেন। বিএনপি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ১৯ বার চেষ্টা করে। আল্লাহর রহমতে প্রতিবারই তিনি বেঁচে যান। ২০০৬ সালে বিএনপি প্রহসন করে। এই সবই বিএনপির আদর্শ। তারা এটা ছাড়া অন্য কিছু করতে পারে না।
তিনি বলেন, আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই- বাংলার মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শুধু উন্নয়নই দেখে নাই রাজনৈতিক শান্তিও দেখেছে। আমরা এই রাজনীতিক শান্তি অব্যাহত রাখতে চাই। আমরা জনগণের কাছে জনগণের প্রাপ্য ভোটের অধিকার পৌঁছে দিয়েছি। ইনশাল্লাহ ২০২৪ সালে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সেটা আবারও প্রমাণ করবো।
এসময় তিনি নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হয় তা নস্যাৎ করে দেওয়ার আহ্বান জানান। কেউ যেন জনগণের ক্ষতি করতে না পরে সে জন্য নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আনিসুল হক বলেন, বাংলার মানুষ শেখ হাসিনা সরকারের শুধু উন্নয়ন নয় রাজনীতিতে শান্তিও দেখেছে। আমরা এই রাজনৈতিক শান্তি অব্যাহত রাখতে চাই। আমরা জনগণের কাছে তাদের প্রাপ্য ভোটাধিকার পৌঁছে দিয়েছি, ২০২৪ সালের সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তা আবারও প্রমাণ করব। কেউ যাতে জনগণের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য তিনি দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
এর আগে আইনমন্ত্রী ঢাকা থেকে আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে সকাল সোয়া ১০টায় আখাউড়ায় পৌঁছেন। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, সাব-রেজিস্ট্রার মো. রমজান খান প্রমুখ।