স্টাফ রিপোর্টার- জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার ১৩৬টি স্থানে নিজস্ব অর্থায়নে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (০৩ মে) দুপুরে কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকায় নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মেয়র এ কথা বলেন।
ঢাদসিক মেয়র বলেন, ‘আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে জলাবদ্ধতা নিরসনে আমাদের ব্যাপক কার্যক্রম চলমান। ২০২০ সালে আমরা যখন দেখলাম, মাঝারি বৃষ্টিতেই ঢাকা শহরের ৭০ ভাগ তলিয়ে যায়। তখন প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে খালগুলো এবং সকল নর্দমা অবকাঠামো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে নিজস্ব অর্থায়নে আমরা বিশাল কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা খালগুলো এখন নিয়মিতভাবে জানুয়ারি মাস থেকেই পরিষ্কার করি। নর্দমাগুলো মার্চ থেকে শুরু করে জুনের আগেই পরিষ্কার সম্পন্ন করি। এ ছাড়াও নির্দিষ্ট যে সকল জায়গায় আমরা জলবদ্ধতা পেয়েছি, যেগুলো সংকটপূর্ণ এলাকা- সে রকম ১৩৬টি জায়গায় আমরা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করেছি, সংস্কার করেছি। ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি।
নতুন অবকাঠামো নির্মাণ এবং বিদ্যমান অবকাঠামোর সংস্কার ও উন্নয়নের ফলে ঢাকাবাসী সুফল পাওয়া আরম্ভ করেছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র বলেন, ‘এর ফলে গত বছর সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ের পরেও ঢাকা শহর কোনোভাবেই তলিয়ে যায়নি। আমরা ঢাকাবাসীকে পূর্ণভাবে জলমগ্নতা থেকে মুক্ত রাখতে পেরেছি। সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ের পরে মাত্র ৯টি জায়গায় কিছু সময় পানি জমেছিল। সুতরাং আমাদের এই ব্যাপক কার্যক্রম এখন ফলপ্রসূ। ঢাকাবাসী এর সুফল পাওয়া আরম্ভ করেছে। আমাদের কার্যক্রম চালমান রয়েছে।’
এর আগে ঢাদসিক মেয়র মেহেরুন্নিসা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের আইসিটি ভবন উদ্বোধন ও শহীদ শামছুন্নেছা আরজু মণি শিক্ষা বৃত্তি প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি অত্র এলাকায় শিক্ষা প্রসার এই বিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে বলে মন্তব্য করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যস্থাপক মো. হায়দর আলী, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাবুল, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নারগীস মাহতাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।