স্টাফ রিপোর্টার – বাংলাদেশ আর কখনও দরিদ্র দেশ হিসেবে কারও কাছে নতজানু হয়ে থাকবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে বলেই স্থিতিশীলতা ধরে রেখে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এমন কথা বলেন তিনি।
বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করার দরকার বাংলাদেশ সবই করবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যে কোনো সংঘাতময় পরিস্থিতিতে আলোচনা করলে ফল আসে। অস্ত্র প্রতিযোগিতা বা সংঘাত নয়, বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাসী।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত করা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। প্রযুক্তির প্রসার এবং অগ্রযাত্রায় অপশক্তির নতুন নতুন হুমকি বাড়ছে। শান্তিরক্ষীদের বহুমাত্রিক জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের গুরুত্ব তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সংখ্যক নারী শান্তিরক্ষী চেয়েছে, যা আমাদের জন্য গৌরব ও সম্মানের।
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালিত হয় এদিনে (২৯ মে)। ২০০৩ সাল থেকে দিবসটি উদ্যাপিত হয়ে আসছে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ বছর যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্যাপন হচ্ছে। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী অবিরাম কাজ করে চলেছে।
দিবসটিকে কেন্দ্র করে নিউইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত জাতিসংঘ সদরদফতরে ড্যাগ হ্যামারশোল্ড পদক বিতরণ করা হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও জাতিসংঘ মহাসচিব এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীকে অভিনন্দন বার্তা দেন এবং তাদের কাজের প্রয়োজনীয়তা ও উপযোগিতার কথা তুলে ধরে থাকেন।
এছাড়া বিভিন্ন দেশেও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী দিবস উদ্যাপন, সভা-সমাবেশ, প্রদর্শনী ইত্যাদি বিষয়াদি স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে আয়োজন করা হয়ে থাকে।
শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের অধীন বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য পাঠানো দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম রয়েছে এক অন্যতম সম্মানের শিখরে।