২০ দিন বন্ধ থাকার পর উৎপাদন ও বিতরণ শুরু করতে যাচ্ছে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। রোববার (২৫ জুন) সকালে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বয়লার চালু করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিকেল চারটায় কেন্দ্রের টারবাইনে কয়লা ভর্তি শেষ হলেই একটি ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ শুরু হবে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব বলেন, কয়লা সংকটের কারণে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ পায়রা বন্দরে এসেছে।
এখন কয়লা খালাস চলছে। বয়লার চালু করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে বিকেল নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে কয়লাবাহী জাহাজ আরও ১৫-১৭টি আসতে থাকলে দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
এদিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকার আকাশে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, সম্ভবত সকালেই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বয়লার চালু করা হয়। তখন থেকেই চুল্লি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
ডলার সংকটে কয়লা আমদানি না হওয়ায় গত ২৫ মে বন্ধ হয় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন। গত ৫ জুন বন্ধ হয় দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন। নতুন করে কয়লা আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার যৌথভাবে ১০০ মিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হলে। ইন্দোনেশিয়া থেকে জাহাজে কয়লা উঠতে শুরু করে। এরপর গত ২৩ জুন মধ্যরাতে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৪১ হাজার ২০৭ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নোঙর করে মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আথেনা। জাহাজ থেকে কয়লা খালাস করায় রোববার ভোর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে শতভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিদিন অন্তত ১৩ হাজার টন কয়লা পোড়াতে হয়।