প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের দুই আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল জিন-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স এবং ক্যাথেরিন পোলার্ড।
রোববার (২৫ জুন) গণভবনে তারা এই সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী কার্যক্রম, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নারী নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সাক্ষাতে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলদ্বয় বলেন, জাতিসংঘ সফলতার সঙ্গে এর শান্তিরক্ষী কার্যক্রমের ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে।
তারা এসময় শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিগত তিন দশক ধরে পেশাদারিত্ব এবং নিবেদিত প্রাণ হয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে অবদান রাখছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জাতিসংঘের ৯টি মিশনে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার নারী ও পুরুষ শান্তিরক্ষী নিয়োজিত।
সাক্ষাতে জাতিসংঘের যৌন নিপীড়ন রোধে গঠিত ফান্ডে সহায়তা করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাথেরিন পোলার্ড।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীর নিরাপত্তা এবং নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে বাংলাদেশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
শেখ হাসিনা এসময় নারীর প্রতি সহিংসতা এবং নিপীড়ন বন্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে নারী নিপীড়নের প্রমাণ পাওয়া গেছে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু নিয়ে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। তার সরকার নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি প্রশমন ও অভিযোজন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।