৪ হাজার ৩৬টি নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতিকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ১২ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে সরকার। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নিবন্ধিত ক, খ ও গ এই তিনটি ক্যাটাগরিতে ৩ হাজার ৯১৩টি সমিতির মাঝে ১১ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার অনুদান দেওয়া হয়েছে। বিশেষ অনুদান হিসেবে ১২৩টি সমিতিকে ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
রোববার (২৭ আগস্ট) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার কাছ থেকে সমিতিগুলোর সভানেত্রী ও প্রতিনিধিরা অনুদানের চেক নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা দেশের উন্নয়নে সমবায় সমিতির উপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদেরকে আরো বেশি সমবায় সমিতিতে অংশগ্রহণের কথা বলেছেন। সরকারি অনুদান সমিতির সদস্য ও গ্রামীণ নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সাবলম্বী ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলবে। নারীদের সমবায় সমিতিতে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করবে।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থিক উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। নারী দারিদ্র্য হ্রাস, নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও নারীদের হিসেবে উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির সদস্যদের আরো বেশী করে এগিয়ে আসতে হবে। নারী নির্যাতন-সহিংসতা বন্ধ, যৌতুক ও বাল্য বিয়ে নামক সামাজিক ব্যাধি রোধে স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির সদস্যদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
এসময় প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা স্বেচ্ছাসেবী সমিতির নেত্রীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয় তৃণমূল পর্যায়ে নারীদের নিকট তুলে ধরার আহ্বান জানান।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব ও শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম। স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, স্বেচ্ছাসেবি মহিলা সমিতির অনুদানের উদ্দেশ্য দেশের দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া নারীদের ক্ষমতায়িত করা। সমিতির মাধ্যমে তাদের সংগঠিত করা।
স্বেচ্ছাসেবী সমিতির পক্ষে বক্তৃতা করেন এশিয়ান নারী ও শিশু কল্যান সংস্থার সভানেত্রী পর্শিয়া সুলতানা ও উত্তরণ মহিলা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভানেত্রী সীমা আক্তার।