পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্সের যে নীতি গ্রহণ করেছেন সেই নীতির আলোকে আমরা কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে এনেছি। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ১২টার দিকে বগুড়ায় পুলিশ প্লাজা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন যাতে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হয়। স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পথ মসৃণ ছিল না। মানুষের নিরাপত্তা বিধানে আমরা দায়িত্ব পালন করছি এতে করে বিভিন্ন সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। সব ধরণের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করছে পুলিশ।
তিনি বলেন, পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ১২ হাজারেও বেশি পুলিশ সদস্যদেরকে প্রায় ৭১ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে অকালে মৃত্যুকালীন অনুদান, চিকিৎসা অনুদান ও ছেলেমেয়েদের শিক্ষাবৃত্তি। করোনা মহামারীতে পুলিশ সদস্যরা সামনের সারি থেকে দেশের সেবা করে গেছেন। যার ফলে প্রধানমন্ত্রীর করোনা মোকাবেলা সহজ হয়েছে। পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে সামাজিক ভয়াবহ বিপদ থেকে যুব সমাজকে মুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এসময় বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মকবুল হোসেন, পুলিশ হেডকোয়াটার্সের অতিরিক্ত আইজিপি (ফিন্যান্স) আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (ফিন্যান্স) এস এম মোস্তাক আহম্মেদ খান, ডিআইজি সৈয়দ রিয়াজ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়ার সাতমাথা এলাকায় অত্যাধুনিক বহুতল ভবন এ পুলিশ প্লাজা। সমগ্র শপিং মল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, নির্ধারিত পণ্যের জন্য ভবনের নির্দিষ্ট ফ্লোর সুসজ্জিত রয়েছে। আগুন ও ধোয়া শনাক্তকরণের স্বয়ংক্রিয় এবং আন্তর্জাতিক মানসম্মত অগ্নি নির্বাপক সংকেত ব্যবস্থা। সিসি ক্যামেরা, ইমারজেন্সি মেডিকেল ও ফাস্ট এইড পয়েন্টসহ আধুনিক সুবিধা রয়েছে এ প্লাজায়।