Search
Close this search box.

বাংলাদেশের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে ট্যারিফ কমিশন কমানো সম্ভব: জন ফে

বাংলাদেশ নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর জন ফে বলেছেন, বাংলাদেশের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে ট্যারিফ কমিশন কমানো সম্ভব। তিনি বলেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়, তা কমানো সম্ভব। তবে তার জন্য শর্তগুলো পালন করতে হবে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ-ইউএসের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জন ফে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, আইটি ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করছে। তবে এই বিনিয়োগ করতে গিয়ে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। তা সমাধান করতে হবে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ওপর আরোপিত মার্কিন ভিসা নীতির কারণে দুই দেশের বাণিজ্যের কোনো প্রভাব পড়বে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমএইর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান বলেন, আমরা ২০২৬ সালে এলিডসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছি। এলডিসিভুক্ত দেশ হলেও যাতে আমাদের আরও ৬ বছর জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সেস, অথবা জিএসপি সুবিধা দেওয়া হয়। আমরা এজন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার বাজারে আমরা শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছি। আমরা আগামী ৬ বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শুল্কমুক্ত কোটা সুবিধা চাচ্ছি। পাশাপাশি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সম্মেলনেও যাতে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধার বিষয়ে মতামত দেয় সেজন আহ্বান জানাচ্ছি।

ইআরএফের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএম) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিকেএমইএ সভ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান ও শাশা ডেনিমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামস মাহমুদ।

ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক ও পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ