প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের যোগাযোগ খাতে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে যে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে, তা সব মহলে স্বীকৃত ও প্রশংসিত হয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে উন্নত, দক্ষ ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা। গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রাধিকার খাত হিসেবে যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, সুগম ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে সড়ক ও রেলপথের সম্প্রসারণ ও সংস্কার চলছে। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক দল সড়ক, রেল, আকাশ ও জলপথ যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ও কর্মসূচি (রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১) সামনে রেখে তা বাস্তবায়নে কাজ করছে।
সরকার দলীয় আরেক সংসদ সদস্য মো. হাবিবর রহমানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে আমি ১৫তম ব্রিকস সামিটে যোগদান করি। গত ২৪ আগস্ট ব্রিকস- আফ্রিকা আউটরিচ অ্যান্ড ব্রিকস প্লাস ডায়ালগে বক্তব্য প্রদানকালে ব্রিকসকে বহুমুখী বিশ্বের বাতিঘর হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার আহ্বান জানাই। এক অনুষ্ঠানে আমি পাঁচ দফা বিশ্বনেতৃবৃন্দের সামনে উপস্থাপন করি।
তিনি আরও বলেন, প্রথমত, আমাদের অবশ্যই চলমান খাদ্য, জ্বালানি এবং নারী ও কন্যাশিশুদের পুষ্টি, স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার আর্থিক সংকটের কারণে উদ্ভূত বিরূপ প্রভাব প্রশমিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমাদের মেয়েদের স্কুলে ধরে রাখার জন্য, তাদের সাইবার অপরাধ থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এবং ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বিভাজন কমানোর জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তৃতীয়ত, নারীদের লাভজনক কর্মসংস্থান, শালীন কাজের সুযোগ, মজুরির সমতা এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সুযোগ বাড়াতে হবে। চতুর্থত, ক্রমবর্ধমান জলবায়ু প্রভাবের কারণে সুরক্ষা এবং সহনশীলতা নিশ্চিতকরণে নারীদের প্রয়োজনীয়তার দিকে আমাদের গভীরভাবে নজর দিতে হবে। পঞ্চমত, আমাদের অবশ্যই নারীদের জন্য টেকসই ও সক্রিয় রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গঠনের একটি সুষম প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র গড়ার প্রচারণা চালাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বক্তব্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কথা তুলে ধরি। বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে দেশের যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে, সেই চিত্র তুলে ধরে তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানাই। ট্রিলিয়ন- ডলার অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য আমাদের যাত্রায় সম্পৃক্ত হওয়ারও আহ্বান জানাই।