ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নতুন সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক পদে মহিউদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। শুকুর আলী বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) কর্মরত আর মহিউদ্দিন দেশটিভির স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এই ফলাফল ঘোষণা করেন ডিআরইউ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনজুরুল আহসান বুলবুল।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। এক হাজার ৪০৪টি ভোট পড়ে নির্বাচনে।
নির্বাচনে সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ৫৮৩ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল সাখাওয়াত হোসেন বাদশা। তিনি ভোট পেয়েছেন ৫২৯টি। ৩৫৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন কবির আহমেদ খান।
৪৫৩ ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শফিকুল ইসলাম শামীম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গাজী আনোয়ার পেয়েছেন ৪৩৯ ভোট। ৩৭০ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন হালিম মোহাম্মদ।
সর্বোচ্চ ৬০৭টি ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মহিউদ্দিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাইনুল হাসান সোহেল পেয়েছেন ৪৭১ ভোট। আব্দুল্লাহ আল কাফি ৩০৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
৭৫৭ ভোট পেয়ে যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মিজানুর রহমান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাইদুল ইসলাম রুবেল পেয়েছেন ৫৩৮ ভোট। ৭৬৭ ভোট পেয়ে অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জাকির হোসেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামরুজ্জামান বাবলু পেয়েছেন ৫৩৭।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৩৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন খালিদ সাইফুল্লাহ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল হাই তুহিনের প্রাপ্ত ভোট ৩৬৪। তৃতীয় হয়েছেন এম এম জসিম। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৩৫৪। ২৬৫ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন হাসান জাভেদ।
৯৬৫ ভোট পেয়ে দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রফিক রাফি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহাবুদ্দিন মাহাতাব পেয়েছেন ৩০৫। ৬৮০ ভোট পেয়ে নারী বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদা ডলি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোজিনা রোজী পেয়েছেন ৬৭০ ভোট।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সুশান্ত কুমার সাহা। তার প্রাপ্ত ভোট ৭০৫। এই পদে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মেজবাউল্লাহ শিমুল পেয়েছেন ৬০৩ ভোট।
তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে ৭৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রাশিম মোল্লা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুস্তাফিজুর রহমান সুমন পেয়েছেন ৪৬৩ ভোট।
ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মাহবুবুর রহমান। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৯২৪। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাকসুদা লিসা পেয়েছেন ৪১০।
সংস্কৃতি সম্পাদক হিসেবে মনোয়ার হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আপ্যায়ন সম্পাদক পদে ৬৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল হক ভূঁইয়া পেয়েছেন ৬৪৭ ভোট।
কল্যাণ সম্পাদক পদে মোহাম্মাদ তানভীর আহম্মেদ ৮৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নার্গিস পেয়েছেন ৪০৫ ভোট।
অন্যদিকে, কার্যনির্বাহী সদস্যের সাতটি পদের জন্য প্রার্থী ছিলেন আটজন। তাদের মধ্যে নির্বাচিত সাতজন হলেন- মো. হাবিবুর রহমান (৯০৯), ফারহানা ইয়াছমিন (৮৪৬), সাঈদ শিপন (৮৩৮), মুহিববুল্লাহ মুহিব(৬৭৭), রফিক মৃধা (৬১৪), দেলোয়ার হোসেন মহিন (৬১০), শরীফুল ইসলাম (৫৫৭)।