বাংলাদেশে সংগ্রহের পর বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৩০ শতাংশ ফসল ও খাদ্য নষ্ট এবং অপচয় হয় বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৭তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনে ‘খাদ্য ও পানি সংরক্ষণ এবং খাদ্য অপচয়রোধ’ শীর্ষক আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নষ্ট ও অপচয় খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর পরিমাণ কমাতে পারলে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, কৃষি খাতে বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার হলো ফসলের সংগ্রগ পরবর্তী নষ্ট ও অপচয় কমিয়ে আনা। সে লক্ষ্যে সরকার ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের কৃষিযন্ত্র দিয়ে যাচ্ছে।
ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, বহুমুখী হিমাগার নির্মাণ, বহুফসলের সমন্বিত সংরক্ষণাগার নির্মাণ ও শাকসবজি পরিবহনে রেফ্রিজারেটেড ভেহিকল প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়াও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
এ সময় তিনি খাদ্য নষ্ট ও অপচয়ের পরিমাণ কমাতে ফসল তোলা, মাড়াই, পরিবহণ ও সংরক্ষণে বিশাল বিনিয়োগ প্রয়োজন বলেও জানান।
মন্ত্রী বলেন, সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে, তারপরও এসব খাতে বেসরকারি ও বিদেশী বিশাল বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমরা এখন সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) অগ্রাধিকার দিচ্ছি। বিদেশী বিনিয়োগ আনার বিষয়ে এফএও সহযোগিতা করতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. মাহমুদুর রহমান, এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি।