রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, সারাদেশে রেলের ২৩ হাজার একরের বেশি জমি বেদখল হয়ে আছে। বেদখল সব জমিই উদ্ধার করা হবে। এটি শুরু হয়েছে রাজবাড়ীর পাংশা রেল স্টেশন হতে। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
শনিবার দুপুরে রাজবাড়ীর পাংশায় রেলওয়ের অবৈধ দখল উচ্ছেদ নিয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। পাংশা উপজেলা সম্মেলন কক্ষে পাংশা রেলওয়ে এলাকায় রেলের অবৈধ দখল উচ্ছেদ নিয়ে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রেলমন্ত্রী বলেন, রেলওয়ের সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি। ব্রিটিশ আমল থেকে এ দেশে রেল যোগাযোগ চালু হয়েছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ কায়দা করে রেলের জমি তাদের নিজের নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছে। রেকর্ড করে নিলেইতো আর জমি তাদের হয়ে গেল না। রেলের কাগজ আছে। নকশা আছে। এসব দেখে রেলের বেদখল জমি উচ্ছেদ করা হবে।
তিনি বলেন, কোন কোন জমি ৩ থেকে ৪ বার বেচাকেনা হয়েছে। তবে সরকারের ঘরে অরিজিনাল কাগজ আছে। এখন উচ্ছেদের প্রশ্ন আসছে। যারা এসব জমি নিজেদের বলে দাবি করছেন, তারা কেউ অরিজিনাল কাগজ দেখাতে পারেননি।
জিল্লুল হাকিম বলেন, পাংশায় আয়াশ নামে একটি রেস্টুরেন্ট উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমি ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি এখানে একটি খাল ছিল। সেখানে ভরাট করে আয়াশ নামের ঐ রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলা হয়। রেলওয়ের জমির মালিক কোনো ব্যক্তি হতে পারে না। তবে রেলের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ভোগদখল করতে হবে। রেলের জমির মালিকানা একমাত্র রেলই।
তিনি বলেন, এই উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র দেখে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে যাবে। আপনারা যারা রেলের জমি নিজেদের বলে দাবি করছেন। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আপনাদের কাগজ জমা দেন। তারপর দুই পক্ষের কাগজপত্র দেখলেই বোঝা যাবে জমি কার। তবে আপনারা নিশ্চিত থাকবেন কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি হতে কাউকে রেল কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ করবে না।
মন্ত্রী আরো বলেন, বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। তবে রেলওয়ের টিকিটের দাম বাড়েনি। আপাতত রেলওয়ের টিকেটের দাম বাড়ানোর কোনো চিন্তাভাবনা নেই। রেলওয়ের যাত্রী সেবার মান উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। রেলপথকে একটি আরামদায়ক পথ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল মোরশেদ আরুজ, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) সাহ সুফি নুর মোহাম্মদ, রেলওয়ের পাকশী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার মজুমদার প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও ) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী।