Search
Close this search box.

ঢাকা উত্তরে ৬ আর দক্ষিণে ২৪ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণ

আসন্ন ঈদ উল আজহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এরই মধ্যে ঢাকার দুই মেয়র নিজ নিজ এলাকার বর্জ্য অপসারণের সময়সীমাও ঘোষণা করেছেন।

এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম ঈদের দিন ৬ ঘণ্টার মধ্যে নগরের রাস্তাঘাট থেকে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দেন। একইভাবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার ঢাকায় পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তারা। ১৭ জুন দেশে পবিত্র ঈদ উল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে ডিএনসিসি এলাকায় ৬টি ও ডিএসসিসি এলাকায় ১০টি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। এর বাইরে ডিএসসিসির সারুলিয়ায় পশুর হাট ও ডিএনসিসির গাবতলিতে স্থায়ী হাট রয়েছে।

জানা যায়,  ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনে ৪০টি ট্রাক যুক্ত হওয়ায় এই বছর বর্জ্য অপসারণে আরও গতি বাড়বে। যে ৮টি আধুনিক কম্প্যাক্টর ট্রাক যুক্ত হলো এগুলো সাধারণ ট্রাকের চেয়ে ১০ গুণ বেশি বর্জ্য অপসারণে সক্ষম। কম্প্যাক্ট করার মাধ্যমে একসঙ্গে অনেক বর্জ্য বহন করতে পারবে এই ট্রাকগুলো। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বর্জ্য অপসারণের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে ইতোমধ্যে ১০ টন সক্ষমতার ২৫টি ড্রাম্প ট্রাক ও ১০টি পে-লোডার সংযোজন করা হয়েছে। আরো ১৫টি ড্রাম্প ট্রাক সংযোজন করা হচ্ছে।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর সবার চেষ্টায় উত্তর সিটি করপোরেশন ৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছিল। এবার আমাদের টার্গেট ছয় ঘণ্টার মধ্যেই বর্জ্য অপসরণ করা।

৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন: ঈদে বর্জ্য অপসারণের জন্য ১০ হাজারের অধিক কর্মী কাজ করবে। ১০ লাখ ৪০ হাজার পলিব্যাগ বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ব্লিচিং পাউডার, স্যাভলন, টুকরি, ফিনাইল দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলররা ও ডিএনসিসির কর্মীরা মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করবেন। আমি নিজে মাঠে থাকবো। অন্যান্য বছর দেখেছি ইজারাদার হাটের বর্জ্য দ্রুত সময়ে অপসারণ করে না। তাই এ বছর আমরা পরিচ্ছন্ন ফি কেটে রেখেছি, সিটি করপোরেশনের কর্মীরাই যথাসময়ে কোরবানির হাটের ময়লা পরিষ্কার করে ফেলবে।

অন্যদিকে বর্জ্য অপসারণ সম্পর্কে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, কোরবানির হাট ও কোরবানি উপলক্ষ্যে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতির মানদণ্ডে আমরা আগের যে কোন সময়ের চাইতে বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছি।

ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আগে কোরবানি করা পশুর বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত যান-যন্ত্রপাতিতে আমাদের কিছু দূর্বলতা ছিল। কিন্তু এবার আমরা পূর্ণভাবে সক্ষম। কারণ, আমরা আশাবাদী, গতবার ঢাকাবাসীকে যে সুবিধা দিতে পেরেছি, যেভাবে বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করতে পেরেছি, এবার তার চেয়েও আরো সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারব।

তিনি বলেন: কোরবানি উপলক্ষ্যে জবাই করা পশুর বর্জ্য অপসারণে আলাদা কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। আমরা প্রতিবছরই আগের বছরের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করি। সে আলোকে আমাদের কর্মপরিকল্পনা ঢেলে সাজাই। সে পরিপ্রেক্ষিতে এবার আমরা হাটের জন্য আলাদা জনবল, কর্মকর্তা ও যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত করেছি। আর জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণে আলাদা জনবল, যান-যন্ত্রপাতি ও ব্যবস্থাপনা করেছি। গতবছরের ন্যায় এবারও ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সুতরাং ইদের দিন যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে, সেটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারিত হবে। পরের দিন যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে সেটাও ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারিত হবে। আর যেহেতু চাঁদরাত হতে হাটে পশুর সংখ্যা, হাটের পরিধি ও বিক্রি কমে যায় সেহেতু চাঁদরাতের মধ্যরাত হতে আমরা হাটের বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করব। ঢাকার দুই মেয়রই যত্রতত্র কোরবানির বর্জ্য না ফেলার জন্য জনগণকে অনুরোধ করেছেন। নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য রাখতে বলেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ