সারাদেশেই রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এই সাপের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। রাসেলস ভাইপার দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নদীর স্রোতে ও বন্যার পানিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাপটি বিস্তৃত হয়েছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল (২১ জুন) শুক্রবার জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছয়টি নির্দেশনা সম্বলিত একটি পোস্ট করেছে বাংলাদেশ বনবিভাগ। জানিয়েছে, রাসেলস ভাইপার স্বভাবগতই কিছুটা তেজী। এটি মেটে রঙের হওয়ায় মাটির সাথে সহজে মিশে যেতে পারে। মানুষ খেয়াল না করে সাপের খুব কাছে চলে যায়, আর সাপটি বিপদ দেখে ভয়ে মানুষকে আক্রমণ করে।
রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে জানিয়ে ৬টি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ বনবিভাগ। নির্দেশনাগুলো হলো,
১) যথাসম্ভব সাপ এড়িয়ে চলুন, সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য নিন বা নিকটতম বন বিভাগ অফিসে খবর দিন।
২) যেসব এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা গিয়েছে, সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।
৩) রাতে চলাচলের সময় অবশ্যই টর্চ লাইট ব্যবহার করুন।
৪) সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। রোগীকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। দংশিত স্থানের ওপর হালকা করে বেঁধে দিন।
৫) রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যান।
৬) আতঙ্কিত হবেন না, রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টি ভেনম নিকটস্থ হাসপাতালেই পাওয়া যায়।