স্টাফ রিপোর্টার: ভারতের সঙ্গে ট্রেন চলাচল শুরু হলে দেশ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে না বলে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ভারতের রেল বাংলাদেশে প্রবেশের পর দেশের আইন অনুযায়ী চলবে। অস্ত্র ও বিস্ফোরক বহনের সুযোগ না থাকায় ভারতের রেল চলাচলে দেশের নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি তৈরি হবে না।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর নিয়ে অসত্য ও ডাহা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে বিএনপি। কল্পিত কাহিনী বানিয়ে গোটা জাতিকে উসকানি দিচ্ছে বিএনপি নেতারা।
সোমবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে দেশটির সঙ্গে একপেশে কোনো চুক্তি হয়নি বলে জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কানেক্টিভিটির জন্য হাব হতে পারে বাংলাদেশ। শুধু যে প্রতিবেশী দেশ লাভবান হবে, এই চিন্তা বাদ দিতে হবে। ভারতের সঙ্গে সমঝোতায় সবাই লাভবান হবে। দেশটির সঙ্গে একপেশে কোনো চুক্তি হয়নি, উভয় দেশ লাভবান হবে।
তিনি বলেন, স্থল সীমানা চুক্তি, সমুদ্রসীমা জয়, গঙ্গার পানি চুক্তিসহ অনেক অর্জন আছে বর্তমান সরকারের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কারণেই ভারতের সংবিধান পরিবর্তন করে স্থল সীমানা চুক্তি করা হয়েছে। যার ফলে সাড়ে ১০ হাজার একর ভূমি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে যুক্ত হয়েছে।
ভারতের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশের বুক চিরে ভারতে ট্রেন যাবে না। ভারতের বুক চিড়েও বাংলাদেশের ট্রেন নেপাল, ভুটান যাবে। কিন্তু সেভাবে তো গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চিন্তায় নতজানু, সততার মানদণ্ডে নতজানু। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে বিএনপি প্রশ্নই তোলেনি, তা নিয়ে এখন সমালোচনা করা মানায় না।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরো বলেন, এই সমঝোতা স্মারকে একটা বিশাল অর্জন আছে। আপনারা দেখবেন নেপাল থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ভারতের যে গ্রিডলাইন, সেই গ্রিডের ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে আমরা নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট আমদানি করব। যখন আমাদের শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকবে, অতিরিক্ত উৎপাদন করব আমরা, তখন রফতানিও করতে পারব। এখন কি বলবেন ভারতের বুকচীরে বাংলাদেশ নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনবে এবং বিদ্যুৎ রফতানি করবে? এখানে তো পুরোটাই আমরা লাভবান হবো। সেজন্য এই সমঝোতা স্মারকের বিষয়গুলো একেবারে উল্লেখ না করে এটি যে দুই দেশের জন্য লাভজনক সেটি উল্লেখ না করে, খণ্ডিতভাবে তারা অপপ্রচারের স্বার্থে মিথ্যাচার করছে।