স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে অনেক ঝড় মোকাবিলা করতে হয়েছে। তবুও মাথা নত করা হয়নি। বাংলাদেশের জনগণের টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে এই পদ্মা সেতু।
আজ শুক্রবার বিকেলে পদ্মা সেতুর মাওয়াপ্রান্তে পদ্মা সেতুর প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষ্যে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী খরস্রোতা পদ্মাকে শাসন করে সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি পদ্মা সেতু নির্মাণে যারা জমি দান করেছেন তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হিলারি ক্লিনটনের নির্দেশেই তখন পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দেয় বিশ্বব্যাংক। তখন বিশ্বের অনেক নেতার সঙ্গে কথা হয়েছে। সবাই ভেবেছিল বিশ্বব্যাংক ছাড়া সম্ভব না। শুধু মালয়েশিয়া বলেছিল, তাঁরা আমাদের সেতুটা করে দেবে। তখন আমিই বলেছিলাম, আমাদের সেতু আমাদের টাকাতেই হবে। যেদিন টাকা হবে সেদিন সেতু হবে। কারও কথায় মাথা নত করে না।’
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দুই বছরেই নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগে বদলে গেছে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থা। ২০২২ সালের ২৫ জুন সড়কপথের পর ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর চালু হয় পদ্মা সেতু প্রকল্পের রেলপথ। বাকি ছিল নদীশাসনসহ কারিগরি কিছু কাজ। এবার প্রকল্পের সেসব কাজও শেষ হয়েছে।
গত ৩০ জুন সেতুর সব কর্মযজ্ঞ শেষ হওয়ার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা। উদ্বোধনের পর থেকে গত ২৫ জুন পর্যন্ত দুই বছরে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি ৭৬ লাখ ১৮ হাজার ৩০ টাকা।
এ সমাপনী অনুষ্ঠানের ব্যয় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। অনুষ্ঠানের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি টাকার ওপরে।