মলয় বিকাশ দেবনাথ ॥ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠিত করতে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃংখলা বাহিনী সচেষ্ট রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
নির্বাচনে সকল দলের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করে এবং এটি থাকবে। বিশ্বের অনেক দেশের নির্বাচনই উত্তেজনাপূর্ণ হয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনাই আমরা চাইনা। কুমিল্লা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আলাদা সুবিধা পাচ্ছে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, এরকম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনকালীন কমিশনের অধীন কাজ করবে। সরকার নির্বাচন কমিশনকে সবধরনের সহযোগিতা প্রদানে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাতের বিষয়ে মন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) বাংলাদেশের নগর স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে। এব্যাপারে কাজ করতে উভয় দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। পরবর্তীতে যৌথভাবে নগর ও গ্রামীণ স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করা হবে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সক্ষমতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্যগত ও আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্চ প্রশংসা করেন। বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে দেশে একদিকে যেমন অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা এসেছে তেমনি মানুষের জীবন যাত্রার মানও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও মন্ত্রীকে অবহিত করেন রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বন্ধুপ্রতিম দেশ। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। দ্বিপাক্ষিক ও অভ্যন্তরীণ সমসাময়িক সমস্যা সমাধানে উভয় দেশ এক সাথে কাজ করবে বলে অঙ্গীকার করেন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। সেই সাথে অদূর ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় ও নতুন উচ্চতায় নেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।