Search
Close this search box.

জনগণের ভোগান্তি দূর করতে নিজেই আদালতে যাবো: মেয়র আতিকুল ইসলাম

মেয়র আতিকুল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার \  জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি এবং তীব্র যানজটের চিত্র সরোজমিনে পরির্দশন করেছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ১০ জুন সকালে তিনি কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়ার ড্রেনের কাজ তদারকিতে যান।

তিনি এসময় বলেন, জনগণের ভোগান্তি দূর করতে প্রয়োজনে আমি নিজে আদালতে যাবো। ড্রেনেজের কাজ বিলম্বিত হবার কারনে এই এলাকার জনগণের দূর্ভোগ এখন চরম পর্যায়ে । জলাবদ্ধতা বেড়ে গেছে এবং প্রতিদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি জানান, গত ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়ার এই ড্রেনেজ অংশ ওয়াসা থেকে ডিএনসিসির নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং সেই সময়ই ওয়াসা কাজ সমাপ্ত না করেই বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ড্রেনের কাজ শুরু হয়। ডিএনসিসি কাজ শুরু করলে পূর্বে ওয়াসা থেকে প্রাপ্ত কাজটির ঠিকাদার মামলা দায়ের করে। মহামান্য আদালত সেখানে স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। এর ফলে ওই অংশে ডিএনসিসির ড্রেনের উন্নয়ন কাজ বন্ধ ছিলো।

জনগণের ভোগান্তি দূর করতে নিজেই আদালতে যাবো
জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি এবং তীব্র যানজটের চিত্র সরোজমিনে পরির্দশন

পরিদর্শন শেষে মেয়র উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় মেয়র বলেন, “আমি আজকে এখানে এসে দেখলাম পূর্বে যারা কাজ করে গেছেন তারা ড্রেনের ভিতরে তাদের ব্যবহৃত পাইপ, সেন্টারিং এর জিনিসপত্র, বালির বস্তা, কাঠসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ফেলে রেখে চলে গেছেন। এগুলোও তারা পরিষ্কার করে নাই। এর ফলে ড্রেনগুলোতে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সম্মিলিতভাবে কাজ করে এই ড্রেন গুলো পরিষ্কার করছে।

তিনি বলেন, জনগণের দূর্ভোগ দূর করতে আমি এখানে চার বার এসেছি। আমি এর আগেও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এবং ওয়াসার সাথে একাধিকবার কথা বলেছি। সিটি কর্পোরেশন এই অংশের সমস্যা সমাধানে গুরুত্বসহকারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই এলাকাসহ ডিএনসিসির অন্যান্য এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা একটি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করেছি। যেকোনো স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে কুইক রেসপন্স টিম তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ সেখানে উপস্থিত হয়ে দ্রুত পানি অপসারণ করে জলাবদ্ধতা নিরসন করবে। গ্রামীণ ফোন ব্যতীত যেকোনো অপারেটর থেকে ১৬১০৬ এই হটলাইন নম্বরে ফোন করে জলাবদ্ধতার বিষয়ে তথ্য জানানো যাবে।

কতদিনের মধ্যে এই ড্রেনের কাজ সম্পন্ন হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ডিএনসিসি এখানে কাজের সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ইতোমধ্যে পাইপ ও অন্যান্য সরঞ্জাম চলে এসেছে। অর্থের বরাদ্দও দেয়া আছে। মহামান্য আদালতের স্থগিতাদেশ উঠে গেলে আমরা মাত্র চার (৪) দিনে এই কাজটুকু সম্পন্ন করতে পারবো।

মেয়র আরো বলেন, তালতলা থেকে মিরপুর ১০ পর্যন্ত পুরো সাড়ে চার কিলোমিটার ড্রেনের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে মাঝখানে কাজীপাড়ার শুধু এই অংশের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এই এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমি আশা করি মহামান্য আদালত জনগণের দূর্ভোগ লাঘবে দ্রুতই এটির একটি সুষ্ঠ সমাধান দিবেন।

এসময় নগরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা এবং কুইক রেসপন্স টিম যখন জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন পরিষ্কার করছে সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ পলিথিন, প্লাস্টিক বর্জ্য ও অন্যান্য নানা ধরনের বর্জ্য পাচ্ছে। আমি নগরবাসীকে অনুরোধ করছি আপনারা এই ধরনের বর্জ্য ড্রেনে ফেলবেন না।

এরপর মেয়র আতিকুল ইসলাম মিরপুরের ৬০ফিট রোডে বারেক মোল্লার মোড় এলাকায় একটি সরু রাস্তা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সরু রাস্তাটি প্রশস্তকরণের জন্য রাস্তার পাশের জমির মালিকের সাথে তার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় তিনি জমির মালিককে নগরবাসীর চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তা প্রশস্তকরণে প্রয়োজনীয় জমি ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেন এবং জমির মালিককে আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে আস্বস্ত করেন। এসময় অন্যান্যদের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ ইসমাইল মোল্লা ও ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ হুমায়ুন রশীদ (জনি), প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, এবং ডিএনসিসির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ